আজই ভুলে যান রাতে মোজা পরে রাতে ঘুমানোর অভ্যাস, নচেৎ…
মুম্বাইয়ের ওয়াকাহার্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. প্রীতম মুনের বলেছেন, রাতে মোজা পরে ঘুমালে ঘুমের ধরনে আসতে পারে পরিবর্তন। সেই সঙ্গে মোজা পরে ঘুমালে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে, আবার টাইট মোজা পরলে স্কিনে র্যাশ দেখা দেয়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
উচ্চ রক্তচাপ: ঘুমানোর সময় মোজা পরলে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। আবার আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে মোজা পরে থাকেন, তবে রক্তপ্রবাহ হ্রাস পায়।
পায়ের স্বাস্থ্যবিধি: মোজা নিয়ে ঘুমানো খারাপ স্বাস্থ্যের কারণ হতে পারে। আপনি দেখুন, যদি আপনার মোজা খুব বেশি টাইট হয় বা নিয়মিত পরিষ্কার না হয়, তবে আপনার পায়ে সঠিকভাবে বাতাস চলাচল করতে পারবে না।
স্কিনে ইনফেকশন: নাইলন বা অন্যান্য উপাদান, যা ত্বকের সঙ্গে মানানসই নয়, সেগুলো দিয়ে তৈরি মোজা পরা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। অতএব, এমন মোজা বেছে নিতে হবে, যা ত্বকের সঙ্গে মানানসই। উদাহরণস্বরূপ, তুলো দিয়ে তৈরি মোজাগুলো পরার চেষ্টা করার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া আপনার মোজা নিয়মিত পরিবর্তন করুন।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি: সঠিক মোজা পরা অপরিহার্য, কারণ এটি না করা অতিরিক্ত গরমের কারণ হতে পারে। এমনকি আপনার দেহের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
ঘুমে ব্যাঘাত: টাইট মোজা পরলে আপনার সারারাতের ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটবে। যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয় তবে আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন আপনার বিছানায় মোজা পরা উচিত কি না। আপনি যদি ভুল ধরণের মোজা পরে থাকেন তবে ত্বকের বিভিন্ন জ্বালা হতে পারে।
মোজা ছাড়াও যেভাবে পা গরম রাখবেন:
১. গরম তেল দিয়ে পা ম্যাসাজ করতে পারেন।
২. গরম জলে পা ধুয়ে কম্বলের নিচে শীত কাটাতে পারেন।
৩. হট ওয়াটার বোতল ব্যবহার করুন, যা আপনার পাকে গরম রাখবে।
৪. ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে আপনি পা গরম হয়
৫. এমন একটি জুতা পরতে পারেন এবং বিছানায় যাওয়ার আগে খুলে ফেলতে পারেন।
৬. শীতকালে এ বিষয়গুলো মেনে চললে অনেকটাই সুস্থ থাকা সম্ভব।