এই ৪ ধরনের মানুষেরা ভুলেও আদা খেয়েছেন কি ….

কলকাতা টাইমস :
শরীরের উপকারে লাগে এমন খাবারের মধ্যে আদার স্থান একেবারে উপরের দিকে। কারণ মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গকে কর্মক্ষম রাখতে আদার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তবে বেশ কয়েক জনের শরীরে এই স্বাস্থ্যকর খাবরটি প্রবেশ করা মাত্র বিষে পরিণত হয়। তাই তো এমন মানুষদের আদার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকাই পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কেন এমনটা হয়? কাদেরই বা আদা খেলে শরীরের ক্ষতি হয়?
এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন, তবে তার জন্য চোখ রাখতে হবে বাকি প্রবন্ধে। গর্ভবতি মহিলাদের আদা খাওয়া চলবে না: একাধিক গবষণার পর একথা প্রমাণিত হয়েছে যে আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান ভাবী মায়েদের শরীরে প্রবেশ করে এমন কিছু নেতিবাচক পরিবর্তন করে, যার ফলে সময়ের আগে বাচ্চা জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয় কিছু ক্ষেত্রে মিসক্যারেজের সম্ভাবনাও থাকে। সেই কারণেই তো ভাবী মায়েদের যে কোনও মূল্যে আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
যাদের ওজন খুব কম তাদের ক্ষেত্রে আদা নৈব নৈব চ! ওজন কমাতে আদার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি খিদে কমিয়ে দেয়। যে কারণে নিয়মিত আদা খেলে চোখে পরার মতো ওজন কমতে শুরু করে। এবার নিশ্চয় বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না যে যাদের ওজন এমনিতেই খুব কম, তাদের কেন আদা খেতে মানা করছেন চিকিৎসকেরা।
রক্তের রোগে ভুগছেন যারা তারাও ভুলে আদা মুখে তুলবেন না: সারা দেহে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে শরীরের প্রতিটি অঙ্গে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দিতে আদা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আদার এই বিশেষ গুণটির কারণেই রক্ত রোগে ভুগছেন এমন রোগীদের এটি খেতে মানা করা হয়। কারণ এমন রোগে ভুগতে থাকা রোগীদের প্রায় নিয়মিতই ব্লাড থিনিং অথবা ব্লাড ক্লটিং মেডিসিন খেতে হয়। সেই সঙ্গে যদি আদা খাওয়া হয় তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
বিশেষ কিছু ওষুধ চলাকালীন আদা খাওয়া চলবে না: যারা রক্ত রোগ সম্পর্কিত ওষুধ খাচ্ছেন অথবা যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত চিকিৎসা চলছে তারা ভুলেও আদা খাবেন না। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি এইসব ওষুধের কর্মক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে রোগ নিয়ন্ত্রেণ আসার পরিবর্তে হাতের বাইরে চলে গিয়ে রোগীর মারাত্মক কিছু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।