অপরাধীর চোখকে ধুলো দেওয়া থেকে আবেগ লুকোনো, সবই করে এদের কালো চশমা
রূপোলি জগতের তারকা থেকে খেলোয়াড়, শিল্পপতি থেকে রাজনৈতিক নেতা— হেভিওয়েট কর্তাব্যক্তিদের রক্ষায় তারা সব সময় তৈরি ।
ফ্যানেদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতেই হোক বা পাপারাৎজিদের খপ্পর থেকে মুক্তি, তারকাদের প্রধান ভরসা এই বডিগার্ড।
চোখে কালো রোদ চশমা, পরনে কালো বা অন্য রঙের সাফারি স্যুট, সুঠাম স্বাস্থ্যের এই দেহরক্ষীরা এক কথায় তারকাদের ছায়াসঙ্গী।
কখনও খেয়াল করে দেখেছেন এই দেহরক্ষী বা বডিগার্ডেরা বেশির ভাগ সময় চোখে কালো রোদ চশমা পরে থাকেন।
ভাবছেন ফ্যাশন বা স্মার্ট দেখানোর জন্যই দেহরক্ষীরা সানগ্লাস পরেন? একেবারেই না। এর পিছনে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে নিরাপত্তার বিষয়টিও। দেহরক্ষীর প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময়েই এই বিষয়ে সচেতন করে দেওয়া হয় তাদের। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা মাথায় রেখেই কালো সানগ্লাস পরে দেহরক্ষীরা।
নজরদারি: কোনও অপরাধীর চোখকে ধুলো দিতেই এই বিশেষ ট্রিক ব্যবহার করেন দেহরক্ষীরা। সানগ্লাস থাকায় তাদের নজর ঠিক কোথায়, কাদের অনুসরণ করছে সেটা বোঝা সম্ভব হয় না। ফলে খুব সহজেই চারপাশে নজরদারি চালানো যায়।
ফ্ল্যাশ লাইট বা সূর্যরশ্মি : ফ্ল্যাশ লাইট বা সূর্যরশ্মির হাত থেকে বাচতেও কালো রোদ চশমা ব্যবহার করেন বডিগার্ডেরা। তাদের ফোকাস থাকে নিরাপত্তার দিকে, তাই কোনও অবস্থাতেই এক মুহূর্তের জন্যও যাতে মনোসংযোগে বিচ্যুতি না ঘটে তাই এই ব্যবস্থা।
চোখের সুরক্ষা : দেহরক্ষীদের প্রায়ই গুলির লড়াই বা বিস্ফোরণের মুখোমুখি হতে হয়। চোখের সুরক্ষার জন্যও সানগ্লাস ব্যবহার করেন দেহরক্ষীরা। তা ছাড়া কালো চশমা পরলে বাইরের দুনিয়ার কাছে আবেগ লুকিয়ে রাখাও সম্ভব হয়।