January 19, 2025     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular বিনোদন

মেরিলিন মনরো থেকে জিয়া, প্রত্যুষা করুন পরিণতি একই 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

মেরিলিন মনরো থেকে শুরু করে সিল্ক স্মিতা, জিয়া খান বা ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়— মর্মান্তিক পরিণতির খবর বার বার উঠে এসেছে শিরোনামে। স্বস্তিকা হোন বা শুভশ্রী, দুর্বল সময়ে আত্মহননের পথ বাছতে গিয়েছিলেন যারা, সেই তালিকাও নেহাত ছোট নয়।

কেউ খ্যাতির শীর্ষে থেকেই বেছে নেয়েছেন আত্মহননের পথ, কেউ বা পেশাগত আর ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যের খেলায় ব্যালেন্স হারিয়েছেন। অনেকেই রুপালি জগতের মোহে এগিয়ে এসে মাঝপথেই টক্কর খেয়ে থমকে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি। নাম, অর্থ, স্টারডমের লড়াইয়ে তাই অনেকে হার মেনেছেন সময়ের অনেক আগেই।

কিন্তু কেন হঠাৎ থেমে যাওয়া? বিগত কয়েক বছরে অভিনেত্রী বা মডেলের আত্মহত্যার ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজের পরিসর যেমন বেড়েছে, তেমনই কি বেড়েছে না-পাওয়ার মাত্রাও? ‘আসলে স্বপ্ন দেখাটা যত সহজ, তার বাস্তবায়নটা তত সহজ নয়, আর এখান থেকেই হতাশার জন্ম,’ মনে করেন মনোবিদ অনিন্দিতা রায়চৌধুরী।

অনিন্দিতার মতে, ‘একদিকে স্বপ্নভঙ্গ বা লড়াই করা মানসিকতার অভাব এবং অন্যদিকে লক্ষ্যে পৌঁছনোর শর্টকার্ট উপায় খুঁজে চলা নিরন্তর, এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই বাড়তে থাকে অনিয়ন্ত্রিত ডিপ্রেশন। এই হতাশারই প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনে। আর তখনই খুব সহজ সম্পর্কগুলোও জটিল আকার নিতে শুরু করে। কারণ আবেগে তখন জট পড়তে থাকে। চূড়ান্ত অবসাদ এবং জীবনের জটিল জটগুলো ছাড়াতে না পেরেই একটা চটজলদি মুক্তির উপায় খুঁজে নেন তারা।’

তবে কি এই রোগের দাওয়াই নেই? অনিন্দিতা জানালেন, ‘ডিজিটাল হাইটেক দুনিয়ায় হতাশা বয়ে আনার উপায় একশো আটটা, কিন্তু টিকে থাকার উপায় একটাই, আর তা হল মনের খবর রাখা। ক্যারিয়ার হোক বা সম্পর্ক, যে কোনও পথে পা বাড়ানোর আগে আবেগের পাশাপাশি মগজ দিয়ে ভাবা। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করানো। কারণ মনও অসুস্থ হতে পারে, ক্লান্ত হতে পারে, তাই সে যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেই, তার কোনও গ্যারান্টি নেই কিন্তু।’

Related Posts

Leave a Reply