কলকাতা টাইমস :
পুরোনো একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন এক ব্যক্তি। তাতেই কেল্লাফতে। ফ্রিজ খুলতেই তা থেকে বেরিয়ে এলো লাখ লাখ টাকা। ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার। তবে সেই অর্থ নিজের কাছে না রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন তিনি।জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু আইল্যান্ডের ওই বাসিন্দা সম্প্রতি অনলাইনে একটি পুরোনো ডিপ ফ্রিজ কেনেন। ফ্রিজটি কিনেছিলেন কোরিয়ান ঐতিহ্যবাহী খাবার খিমছী স্টোর করে রাখার জন্য। বাড়িতে আনার পর ভেতরটা পরিষ্কার করছিলেন তিনি। ওই সময় ফ্রিজের একেবারে তলায় টেপ দিয়ে মোড়ানো লুকানো অবস্থায় টাকার বান্ডিল দেখতে পান।সেই অর্থের পরিমাণ দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ওন, যা ভারতীয় তাকে প্রায় প্রায় ৮ লাখ। সেখানে ছিল প্রত্যেকটা ৫০ হাজার ওনের কোরিয়ান নোট।
এই অর্থ পাওয়ার পর পুলিশকে খবর দেন তিনি। পরে পুলিশের কাছে সব অর্থ তুলে দেন।পুরোনো ফ্রিজের ভেতর এত টাকা কীভাবে এলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ফ্রিজটি অনলাইনে যিনি বিক্রি করেছেন তাকে শনাক্ত করার কাজ চলছে। এছাড়া ফ্রিজ পরিবহন ও হস্তান্তরে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছেন তারা।তদন্তে যুক্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুরোনো ফ্রিজের ভেতর অর্থ পাওয়ার ঘটনা সত্যিই বিরল। এ রকম ঘটনা তিনি তার চাকরি জীবনে দেখেননি।
দক্ষিণ কোরিয়ার লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড অ্যাক্ট অনুযায়ী, ফ্রিজে পাওয়া অর্থের প্রকৃত মালিক পাওয়া না গেলেও যিনি ফ্রিজটি কিনেছেন, তিনি ওই অর্থ পাবেন। তবে এই অর্থের সঙ্গে কোনো অপরাধের ঘটনা জড়িত থাকলে তা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।এদিকে ব্যাংকের সুদের হার কম হওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ফ্রিজের মধ্যে অর্থ রাখার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কোরিয়ান সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, সামান্য সুদের আশায় না থেকে মানুষের মধ্যে ডিপ ফ্রিজে অর্থ রাখার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।