সাবধান : এই জিনিসটিই কমে যাওয়াতেই কোষ্ঠকাঠিন্য পিছু ছাড়ছে না আপনার
মানুষের শরীরে রোগের শেষ নেই। একেরপর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য তারই মধ্যে একটি। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে মল খুব কঠিন হয়ে যায় এবং মলত্যাগ করতে প্রচণ্ড অসুবিধা হয়। এর ফলে নানারকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে প্রতিদিন যেমন নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে, তেমনই রোজকার ডায়েটের দিকে কড়া নজর দিতে হবে। কীভাবে নিজের ডায়েট চার্ট সাজাবেন তা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পেতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেটের মধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করতে পারেন। মল শক্ত হতে পারে। কখনও কখনও পেট পুরো পরিষ্কার নাও হতে পারে। তলপেটে ব্যথা ও বমি ভাব মনে হতে পারে অনেক সময়ে।
এক্ষেত্রে প্রতিদিন একটু বেশি করে জল খেয়ে নিতে হবে। চেষ্টা করবেন উষ্ণ গরম জল পান করতে। বিশেষ করে সকালে উষ্ণ গরম জল খেলে উপকার পাবেন। এছাড়া ডায়েটে বেশি করে ফল ও সবজি জাতীয় খাবার রাখতে হবে। তবে কী কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তা সবার আগে জানতে হবে।
নিচের জেনে নিন সেই কারণগুলি।
ডায়েটে হঠাৎ রদবদল : রোজকার ডায়েটে হঠাৎ রদবদল করতে হলে আগে থেকে দেখে নিন। অনেক সময়ে হঠাৎ অন্য ডায়েট চার্ট মেনে চলতে শুরু করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
ফ্লুয়িড কমে যাওয়া : যে খাবারগুলি আমরা খাচ্ছি, তাতে যদি ফ্লুয়িডের পরিমাণ কমে যায় তাহলে এই সমস্যা হতে পারে। নিয়মিত ওষুধ খাওয়া বিশেষ করে বয়স হয়ে গেলে অনেকেই ওষুধের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এর ফলে এই সমস্যা হতে পারে। অনেক সময়ে কঠিন কোনও রোগের কারণে অনেকদিন কড়া ওষুধ খেতে হলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়।
ওষুধে অ্যালার্জি : কোনও ওষুধে অ্যালার্জি থাকলে তা খেলে অনেকসময় মল শক্ত হয়ে যেতে পারে। কম শরীরচর্চা কম শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ফলে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।