মার্কিন সখ্যতাই গনি বারাদার কে পৌঁছে দিল আফগান মসনদে ?
এদিকে বারাদারের সঙ্গে আমেরিকার সখ্যতা ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। সূত্র বলছে, ১৯৮০ সালে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী হটাতে মার্কিন বাহিনীর সহায়তায় লড়াই করেছেন তিনি।
মোল্লা ওমরের বিশ্বস্ত সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম বারদার ২০১০ সালে আইএসআই আর সিআইএ’র যৌথ অভিযানে তিনি পাকিস্তানের করাচি শহরে ধরা পড়েন। ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর বারাদারের ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল তালেবান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তিনি মুক্তি পান বলে দাবি করেছেন ওয়াশিংটনের বিশেষ দূত জালমি খালিলজাদ।
সূত্র বলছে, তালেবানের এই নেতা রবিবার সকালে আশরাফ গনি এবং আমেরিকার কূটনীতিবিদদের সঙ্গে সমঝোতা করতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হাজির হন। তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা গনি বারাদার তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দোহায় অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় তালেবানের যে দলটি রয়েছে তাদের অন্যতম সদস্য বারাদার।
আফগানিস্তানের ওরুজগান প্রদেশের দেহ রাহওয়াদ জেলার উইটমাক গ্রামে ১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন বারাদার। তালেবান ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর তিনি প্রাক্তন কমান্ডার মোহাম্মদ ওমরের সাথে কান্দাহার প্রদেশের মাইওয়ান্দে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করেছেন। পশ্চিমা গণমাধ্যমের মতে ওমর আর বারাদার বৈবাহিক সূত্রে আত্মীয়।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালেবান শাসনামলে বারাদার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি হেরাত আর নিমরোজের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন বলে জানা গেছে।