ভূতের গ্রাম, কিন্তু গেলেই মন ভালো হয়ে যাবে!
কলকাতা টাইমস :
ফাঁকাই পড়ে আছে দারুণ গ্রামখানা, যেতেই পারেন, মানা নেই যেতে। যদি ঘুরতে ভালোবাসেন তবে যেতে পারেন সেই গ্রামে। যাবেন নাকি ওই গ্রামে? তবে শর্ত একটাই, ভূতের ভয় পেলে কিন্তু চলবে না। ভূতের পরোয়া না থাকলে ঘুরে আসতেই পারেন গৌকি দ্বীপের ওই গ্রাম থেকে। মন ভালো হয়ে যাবে।
ভূতের উত্পাতে বাড়িগুলো অনেক বছর আগেই পরিত্যক্ত। কেউ ভুলেও পা মাড়ায় না গ্রামে। আগে লোকজন তবু মাছ ধরতে আসতো। মত্স্যশিকারিদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল চীনের দ্বীপটি। ঝাঁকে ঝাঁকে লোকে আসতো, ছিপ হাতে। চার ফেলে সারাদিনের নামে নদীর ধারে। কিন্তু প্রাণের মায়া বড় মায়া। তাই মাছ ধরার নেশা ভুলেছে লোকজন।
সাংহাই থেকে কয়েক ঘণ্টার পথ। রাতা তো কোনো ছাড়, দিনে কেউ পা মাড়ায় না চীনের ওই গ্রামে। লোকজন যে আসে না, রাস্তাঘাট দেখলে বোঝা যায়। বোঝা যায় পরিত্যক্ত ঘরগুলোর দিকে তাকালে।
সবুজ মখমলে মোড়া ঘরদোর। কোনোটার ছাদ আছে, কোনোটায় নেই। বাধা নেই, উপড়ে ফেলার কেউ নেই। তাই পরম নিশ্চিন্তে বেড়েছে আগছার জঙ্গল। কিন্তু সেই বুনো গাছগাছালিতেও একটা সৌন্দর্য আছে। যেন প্রকৃতিপ্রেমী কারো হাতে সাজানো গোটা গ্রামটা।
হয়তো বা ভূতেরাই সাজায় ভূতেদের বাড়ি! কারণ এ বাড়ির তো আর মালিকানা নেই কারো। কারো নামে মালিকানা থাকলেও তিনি ঘরদোর ছেড়ে পালিয়েছেন ভূতের উপদ্রবে।
তা ভূতের ভয় কেমন? থাকলে কেমন উত্পাত সইতে হয়? এ নিয়ে কেউ মুখে খোলে না। গৌকি দ্বীপের নাম করলে লোকে বিস্মিত মুখে তাকিয়ে ছোটে উলটো দিকে।
তা ছুটুক, চীনেরই এক সাহসী ফোটোগ্রাফার ঢুকে পড়েছিলেন ভূতের গ্রামে। ক্যামেরার লেন্সে ভূত ধরা না পড়লেও ধরা পড়েছে প্রকৃতির সবুজ নির্মল ছবি।