‘গিলয়’, পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পাল্টে দেবে সবই
কলকাতা টাইমস :
বহু প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাবিদ্যায় গিলয় নামে একটি ভেষজ ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এ ভেষজটির আয়ুর্বেদিক ওষুধও পাওয়া যায়। গিলয়ের রয়েছে বহু উপকারিতা। এ লেখায় তুলে ধরা হলো গিলয়ের ১০ উপকারিতা।
১. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গিলয় খুবই কার্যকর। এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের কোষগুলোকে সুস্থ রাখে এবং নানা রোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি দেহের দূষিত পদার্থ দূর করে, রক্ত পরিষ্কার করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে। হৃদরোগ, মূত্রসংক্রান্ত নানা রোগ ও উর্বরতাজনিত রোগ প্রতিরোধে এর যথেষ্ট কার্যকারিতা রয়েছে।
২. ক্রনিক জ্বর
ক্রনিক জ্বর নিরাময়ে গিলয় যথেষ্ট কার্যকর বলে জানান চিকিৎসকরা । ঘন ঘন জ্বর হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে গিলয়। এছাড়া এটি ডেঙ্গু, সোয়াইন ফ্লু ও ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধেও দেহের প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হয়।
৩. হজমে উন্নতি
হজমশক্তির উন্নতির জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি ভেষজ। পেটের নানা ধরনের সমস্যার চিকিৎসায় এ ভেষজ ব্যবহৃত হয় বলে জানান দিল্লির একজন পুষ্টিবিদ। এক্ষেত্রে আধ গ্রাম গিলয় পাউডার কিছুটা আমলকির সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করতে হবে। এছাড়া কোষ্টকাঠিন্য সমস্যায় এটি সামান্য গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
৪. ডায়াবেটিস চিকিৎসায়
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে এ ভেষজটি যথেষ্ট কার্যকর। ভারতের ফোর্টিজ হাসপাতালের ড. মনোজ কে. আহুজা বলেন, গিলয় ডায়াবেটিস (বিশেষত টাইপ ২ ডায়াবেটিস) নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
৫. মানসিক চাপ কমাতে
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে গিলয় কার্যকর। এটি মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ও চিন্তাভাবনা স্থীর করে মানসিক চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।
৬. শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করতে
গিলয় শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা দূর করতে কার্যকর। এটি ঠাণ্ডা, কাশি ও টনসিলের মতো সমস্যাও উপশম করে।
৭. আথ্রাইটিস
প্রদাহরোধী ও আথ্রাইটিসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার উপাদান রয়েছে গিলয়ে। এ কারণে আথ্রাইটিসের ব্যথা যাদের রয়েছে তারা এ ভেষজটি গ্রহণ করতে পারেন। অস্থিসন্ধির ব্যথার জন্য গিলয় দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে বলে জানান ড. আশুতোষ। এছাড়া আদার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে রিউমেটয়েড আথ্রাইটিসের চিকিৎসায়।
৮. শ্বাসকষ্ট কমাতে
শ্বাসকষ্টজনিত নানা ধরনের সমস্যা উপশমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে গিলয়। এটি কাশি ও শ্বাসের সময় শব্দ হওয়া দূর করে এবং শ্বাস নেওয়ার কষ্ট উপশম করে।
৯. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
গিলয় দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে গিলয় পাউডার প্রথমে সেদ্ধ করে তা ঠাণ্ডা করতে হবে। এরপর তা চোখের পাতার ওপর লাগাতে হবে।
১০. বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহে যে ক্ষয় হয়, তা কিছুটা রোধ করতে পারে গিলয়। এতে অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টি থাকায় তা বয়স বৃদ্ধির প্রকোপ চেহারায় প্রকাশ পেতে দেয় না।