‘কুৎসিত’ প্রেমিকের প্রত্যাখানে চেহারাই পাল্টে ফেললেন তরুণী
কলকাতা টাইমস :
প্রেমিককে ভীষণ ভালোবাসতেন ভিয়েতনামি তরুণী এনগুয়েন তুং ভি। কিন্তু ‘চেহারার দোষ’ দিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন প্রেমিক। ওই ঘটনার পর খানিক বেদনাবোধ আর ক্ষোভে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে নিজের চেহারাই বদলে ফেলেন তিনি।
ঘটনাটি বছর কয়েক আগের। তবে সম্প্রতি প্লাস্টিক সার্জারির আগের ও পরের দুটি ছবি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে রাতারাতি তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে সমানে যুক্তিতর্ক এবং নিন্দা ও প্রশংসার ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে ভিয়েতনামে।
২১ বছর বয়সী তুং ভি জানান, তিনি যখন ১৭ বছরের কিশোরী ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, তখন চেহারার কারণে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তার প্রেমিক। এ ঘটনায় ভীষণ মর্মাহত হন তিনি।তিনি বলেন, প্রেমিক তাকে ভীষণ ভালোবাসার কথা বললেও তার চেহারা পছন্দ করতেন না; তাই নিজের বন্ধুদের সঙ্গেও কখনো পরিচয় করিয়ে দেননি। অবশ্য, তার চেহারা যে পছন্দ করতেন না, এ কথা মুখ ফুটেও বলেননি কখনও। তবে সেটি ফাঁস হয়ে যায় প্রেমিকের এক বন্ধুর জন্মদিনে তাদের দুজনকে নিমন্ত্রণ জানানোর পর।
এ ঘটনায় ভীষণ মুষড়ে পড়েন তুং ভি। সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার কথা তোলেন। আর তা শোনামাত্রই মেনে নেন তার প্রেমিক, যা কি না তুং ভিকে আরও মর্মাহত করে। কেননা, স্বভাবতই তিনি ভেবেছিলেন, তার এই অভিমানী কথাকে বোঝার চেষ্টা করবেন এবং সম্পর্ক বজায় রাখবেন প্রেমিক।
নিজের রোমান্টিক সম্পর্কটি ভাঙার ক্ষত সেরে না ওঠতেই তুলনামূলক এক সুন্দরী তরুণীর সঙ্গে ওই প্রেমিককে চোখের সামনে সম্পর্ক গড়তে দেখেন তুং ভি। আর তখনই নিজের চেহারা পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
সম্পর্কে ভাঙন ও এই সিদ্ধান্তের কথা মাকে খুলে বলেন তিনি। তাকে অবাক করে দিয়ে সম্মতি দেন ও সহযোগিতা করেন মা। সব খরচ তুং ভির মা’ই বহন করেন। এমনকি প্লাস্টিক সার্জারি করানোর জন্য মেয়েকে ক্লিনিকে নিজেই নিয়ে যান।
তুং ভির বয়স যখন ১৯, তখনই প্লাস্টিক সার্জারিটি করান। এরপর তার নতুন চেহারার প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে পরিচিত মহলে। এ কারণে নিজের সেই প্রাক্তন প্রেমিকের প্রতি এক ধরনের কৃতজ্ঞতাও অনুভব করেন তুং ভি!
‘প্রাক্তনের সঙ্গে গত ৪ বছরে দেখা করিনি; যদিও জানি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে আমাকে ফলো করে এবং প্রতিদিন আমার ছবিতে লাইক দেয়,’ বলেন তুং ভি। ‘আগে ওকে দোষ দিতাম। কিন্তু এখন, এই পরিস্থিতিতে আমি ও-রকম একজন কুৎসিত মানসিকতার লোককে আমার বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে নারাজ।’