সবুজ পাহাড়ে ঘেরা মালভূমির অপরূপ রাজ্যে
ট্রাভেল ডেস্ক
বেড়ানো নিয়ে নতুন সিরিজ। বাদিকের বুকপকেট-টায় একটু ইচ্ছে ভর্তি করে চলুন বেরিয়ে পড়ি।প্রজাপতি হয়ে একটা একটা করে রাজ্য পাড়ি দেব আমরা। শুরু করছি অরুণাচলপ্রদেশ- থেকে। ভালুকপং, বমডিলা, দিরাং, তাওয়াং, ইটনাগর –এর পর এবার যাই জিরো-হাপোলি ও দাপোরিজো ।
উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম রাজ্য অরুণাচলপ্রদেশ, সকালবেলার রোদ্দুর যেখানে ভারতের মাটিতে প্রথম পা ফেলে। অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ি এই রাজ্যটিতে বাস করেন নানান উপজাতির মানুষেরা। চিন-তিব্বত সীমান্তে অবস্থানের জন্য অরুণাচল প্রবেশে ইনারলাইন পারমিট লাগে। পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব অরুণাচলের জন্য আলাদা আলাদা পারমিট করতে হবে।
জিরো–হাপোলি (Ziro /Zero – Hapoli)- ইটানগরের মতোই যমজ শহর জিরো আর হাপোলি।পাইনে ছাওয়া সবুজ পাহাড়ে ঘেরা আপাতানি মালভূমির এই অপরূপ রাজ্যে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী সুবনসিরি, নিশি, আপাতানি, দফলা আর মিরি।লোয়ার সুবনসিরি জেলার সদর শহর জিরো। শহরের সীমানা ছাড়ালে শুরু হয় পাইন গাছের জঙ্গল।পাহাড়ি পথে হাঁটতে হাঁটতে পাবেন আপাতানি উপজাতিদের গ্রাম। হাপোলি থেকে ৫কিমি দূরে তারিন হাই অলটিচিউড ফিশ ফার্ম (Tarin High Altitude Fish Farm)। জিরো থেকে ৩৮কিমি দূরে তালে অভয়ারণ্য (Taley Valley Wildlife Sanctuary)। শেষে ৮কিমি হাঁটতে হবে।
যাওয়া– ইটানগর থেকে বাসে বা গাড়িতে চড়াই-উতরাই ভেঙে কিমিন চেকপোস্ট পেরিয়ে ঘন্টা ছয়েকে পৌঁছনো যাবে ২০০কিমি দূরে জিরোতে।
থাকা– জিরোতে সার্কিট হাউস বা ইনস্পেকশন বাংলোতে থাকতে হলে জিরোর ডেপুটি কমিশনারের অফিস থেকে অনুমতি নিতে হবে।অন্যথায় হোটেলে রাত্রিবাস।
উৎসব– মার্চ-এপ্রিল মাসে আপাতানিদের মিকো (Miko) উৎসব হয়।প্রধান উৎসব দ্রী (Dree) হয় জুলাই মাসে।
দাপোরিজো (Daporizo)- জিরো থেকে ১৮০কিমি দূরে সুবনসিরি নদী উপত্যকায় ছোট্ট শহর দাপোরিজো।এই অঞ্চলের প্রধান দুই উপজাতি তাগিন ও হিলমিরি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই এই অঞ্চলের বড় সম্পদ । দাপোরিজো থেকে ১৯কিমি দূরে মেঙ্গাতে রয়েছে লাইমস্টোন কেভ (Limestone Cave)।
যাওয়া– বাসে বা গাড়িতে আদিম বনভূমির ভেতর দিয়ে রোমাঞ্চকর পথে পৌঁছতে হবে জিরো থেকে দাপোরিজো।
থাকা– থাকার জন্য সার্কিট হাউস বা ইনস্পেকশন বাংলোই ভালো।