এ যেন স্বর্গ? টয়লেট থেকে সবই নাকি সোনায় মোড়া হোটেলে
কলকাতা টাইমস :
সোনায় মোড়া টয়লেটের খবর শুনেছেন, সোনার তৈরি আরও কত শত জিনিসের নাম শুনেছেন। এবার সোনায় মোড়া হোটেল। আর ঝাঁ চকচকে সেই সোনার হোটেলটি তৈরি করা হয়েছে ভিয়েতনামে। দেশটির রাজধানী হ্যানয়তে তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্বপ্রথম সোনার প্লেটে নির্মিত হোটেল।
২০০৯ সাল থেকে এই হোটেলের কাজ শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে, চলতি বছরের শেষ দিকেই পুরোপুরি নির্মিত হয়ে যাবে তাক লাগানো এই হোটেল। তবে জেনে রাখা ভালো যে, এই হোটেল ফাইভ স্টারেরও বেশি। এটি একটি সিক্স স্টার অর্থাৎ ছয় তারা হোটেল। হ্যানয়য়ের এই সুন্দর সোনার প্লেটে তৈরি হোটেলের নাম রাখা হয়েছে ‘ডলস হানোই গোল্ডেন লেক’।
এই হোটেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। হোটেলের ইন্টিরিয়ার এবং এক্সটিরিয়ার দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়েছে ২৪ ক্যারেটের সোনা। তবে সোনার পাতে পুরো হোটেল নির্মিত হলে কী হবে, হোটেলের টয়লেট সিট থেকে শুরু করে লবি, ইনফিনিটি পুল, রুম এমনকী বাথরুমের শাওয়ারের মাথাটিও সোনা দিয়েই তৈরি করা হয়েছে। হোটেলে কোনও গেস্ট কফি খেতে চাইলে, তাকে সোনার কাপেই কফি পরিবেশন করা হবে।
ভিয়েতনামের রাজধানী এখন অন্যতম ট্যুরিস্ট আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সোনায় মোড়া হোটেল। হোটেলের কাজ পুরোপুরি ভাবে শেষ হতে এখনও বেশ কিছু দিন বাকি রয়েছে। কিন্তু বিগত বেশ কিছু বছর ধ’রেই পর্যটকেরা হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। হ্যানয়য়ের বা দিন জেলার গিয়াং ভো লেকের এক্কেবারে ধা’রেই তৈরি হয়েছে এই হোটেল। ভিয়েতনামের প্রসিদ্ধ হোয়া বিন গ্রুপই তৈরি করেছে ‘ডলস হানোই গোল্ডেন লেক’।
হোটেলটির ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব সামলাচ্ছে আমেরিকান সংস্থা উইনধাম হোটেল গ্রুপ। হোটেলটির অন্দরে এবং বাইরেও ৫০০০ বর্গমিটারের সেরামিক টাইলস বসানো রয়েছে। এই ধরনের টাইলস নির্মিত হয় সম্পূর্ণ সোনা দিয়েই। সোনার পাতে মোড়া এই হোটেলে রয়েছে মোট ২৫টি তলা। আর ইমিউনিটি পুলটি রয়েছে এক্কেবারে রুফটপে। তবে এহেন হোটেলের ঘরগুলি যেমন সোনায় মোড়া, তেমনই আবার বাথরুম থেকে পুল সবই সোনার প্লেটে তৈরি।
কাপ থেকে শুরু করে খাবার-দাবারও এই হোটেলে সোনার পাত্রেই পরিবেশন করা হয়। তবে তার থেকেও চিত্তাক’র্ষক বিষয়টি হল হোটেলের যাবতীয় সব আসবাবপত্রই সোনায় তৈরি করা হয়েছে। শুধু ধনীরাই নয়। সাধারণ ছাপোষা মধ্যবিত্তরাও ঘুরে যাক এই হোটেলে। এমন কথাই বলছেন হোটেলের নির্মাতা থেকে শুরু করে খোদ হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়া তো বটেই এমনকী সশরীরেও মানুষ চেক ইন করুক এই হোটেলে।
হোটেলের নির্মাতা সংস্থা হোয়া বিন গ্রুপের চেয়ারম্যান এনগ্যুয়েন হু ডুয়োং বলছেন, “আমাদের গ্রুপেরই একটি ফ্যাক্টরি রয়েছে যেখানে আমরা খুব সস্তায় নানা ধরনের সোনার জিনিসপত্র বানাই। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সোনায় মোড়া এই হোটেলে থাকার খরচ কম।”
তবে করোনা আবহে যে, তাদের ব্যবসা রীতিমতো ধা’ক্কা খেয়েছে, সে কথাটাও স্বী’কার করে নিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই সং’ক’টজনক পরি’স্থিতি একবার চলে গেলে আবার যে তারা ঘুরে দাঁড়াবেন, সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ‘ডলস হানোই গোল্ডেন লেক’ কর্তৃপক্ষ।