শুভ কাজ কিংবা পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে ডিম খেলে দুর্ভাগ্য ধাওয়া করে?

কলকাতা টাইমস :
অনেকেই মনে করেন, ডিমের মতো একটা গোল্লামার্কা বস্তু খেয়ে কোন শুভ কাজে গেলে বা পরীক্ষা দিতে গেলে সেই পরীক্ষাতেও গোল্লা পাওয়ার সম্ভাবনা। তাই কি ডিম অভক্ষ্য জীবনের এই বিশেষ সময়ে?
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে অতি বড় সংস্কারমুক্তও দুর্বল হয়ে পড়েন, আর ভিতুদের কথা না বলাই ভাল। ইউরোপ ও আমেরিকাতেও এই সব সংস্কার রীতিমতো তার ডালপালা বিস্তার করে রয়েছে। এসবের হয়তো কোনও মানেই হয়না। তবু এই সমস্ত সংস্কারই সংস্কৃতির অঙ্গ। নিছক মজা করার জন্য অনেকই এদের উল্লেখ করেন বটে, কিন্তু পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে যখন পেট গুড়গুড় করে, মাথা ঝিম ঝিম করে, তখন মন মানে না। সব ফাজলামি তখন হাওয়া। অতি বড় নাস্তিকও রাস্তার পাশের নুড়ি শিবকে দেখে ঠকাস ঠকাস করে নমো করে, গোমাতার লেজে কপাল ঠেকায়।
এমনই এক সংস্কার আমাদের দেশে বহাল। সেটা ডিম নিয়ে। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে ডিম খাওয়া কি শুভ? অনেকেই মনে করেন, ডিমের মতো একটা গোল্লামার্কা বস্তু খেয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে সেই পরীক্ষাতেও গোল্লা পাওয়ার সম্ভাবনা। তার উপরে বাংলা কহাবতে উল্লিখিত ‘ঘোড়ার ডিম’ তাড়া করে ফেরে মগজকে। ডিমের সাধু প্রতিশব্দ ‘ডিম্ব’, যার আদি অর্থ ‘বিদ্রোহ’। পরীক্ষার আগে মগজ অথবা পেট বিদ্রোহ করলে দফা গয়া। তাই কি ডিম অভক্ষ্য জীবনের এই বিশেষ সময়ে?
না। পশ্চিমি সংস্কার বরং উলটো কথা বলে। সেই সংস্কৃতির বক্তব্য— ডিম প্রজননের প্রতীক। তার মধ্যে নিহিত রয়েছে পুনরুত্থান বা নবজন্মের ব্যঞ্জনাও। মনে রাখতে হবে গুড ফ্রাইডের অনুষঙ্গে ইস্টার এগ-এর কথাও। ইংল্যান্ডে ধবধবে সাদা ডিম অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। উপহার হিসেবেও ডিম বেশ জনপ্রিয় এই দেশে। কিন্তু বাদামি রংয়ের ডিম নিয়ে বিস্তর সংস্কার রয়েছে ইংল্যান্ডে। সেটা নাকি মোটেও শুভ নয়।