ডোবার নোংরা জলেই তৈরী নজরকাড়া রেশমি শাড়ি
কলকাতা টাইমস :
জেনে আশ্চর্য হবেন মাটির নিচে সঞ্চিত জল ব্যবহারে সবার ওপরে ভারত। এমনকি আমেরিকা ও চীন একযোগে যতটা জল ব্যবহার করে একাই তারচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ভারত। অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে জলের পরিমাণও কমে আসছে। যেমনটা হয়েছে ব্যাঙ্গালোরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
মুনিরাগু কথাই ধরুন। তার নলকূপটা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সবজি ক্ষেতটাই শুকিয়ে গেলো। সেখানে সবজি চাষ বন্ধ। তাই বলে শুকনো ক্ষেত কি অকেজো হয়ে যায়? যায় না। এখন তিনি এখানে মালবেরি নামের এক উদ্ভিদের চাষ করছেন। সিল্ক উৎপাদনে এই উদ্ভিদের ভূমিকা আছে। ডোবা কিংবা সুয়ারেজের ময়লা জল দিয়েই এসব ক্ষেতে সেচ দেয়া হচ্ছে।
ভারতের অনেক স্থানেই জলের বড়ই অভাব। সেই ছোটবেলা থেকেই মনিরাগু চাষবাস করেন। এখন তার বয়স ৪৫। এখন চাষের জলের অভাবে ভুগছেন। নিজের কূপ শুকিয়ে যাওয়ার পর নিরুপায় হয়ে অন্যের জমি চাষ করেছেন ৫ বছর। বর্ষাকালে কিছু জল সুয়ারেজ লাইনে মিলতো। এই জল দিয়েই চাষ করা হতো। কিন্তু ময়লা জলে সবজি চাষ ঝুঁকিপূর্ণ। এসব জলে জীবাণু থাকে এবং তা ফসলের ক্ষতি করে।
সিল্কওয়ার্মকে খাওয়ানো হয় মালবেরি উদ্ভিদ। এটা খেয়ে তারা যে তন্তুর গুটি উৎপাদন করে তা সংগ্রহ করা হয়। চরকায় ঘুরিয়ে এসব গুটি থেকেই তৈরি হয় সিল্কের তন্তু। এই সিল্ক থেকেই তৈরি হয় শাড়ি। মুনিরাগুর এই উদ্ভাবনী কৃষিতে মুগ্ধ অনেকেই। তার মতো করে জল সংকটে ভোগা কৃষকরা চাষবাস করলে জলের অভাব থাকবে না। অর্থাৎ, জলের এমন ব্যবহার ঘটবে না যা বিশুদ্ধ জলের অভাব ঘটায়।