কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার গুফি’র ভিজিটিং কার্ডও আছে !
এমনকি অফিসে ইন্টারভিউ হলে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকের পদেও বসে যায় সে। জানা যায়, ওই অফিসে যে-ই নিয়োগ পাক, গুফির সাথে আগে পরিচিত হতে হয় তাকে। কোম্পানিটির একজন অংশীদার বালা মানিয়ান জানালেন গুফি সম্পর্কে।
‘১০ বছর আগে তারা একটি চায়ের দোকানের পাশে গুফিকে দেখতে পান। হয়ত সে হারিয়ে গিয়েছিল কিংবা পালিয়েছিল। তবে এখন সে এই কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।’ বালা মানিয়ান বলেন, ‘ওকে পাওয়ার পর আমরা ওর জন্য একটা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিলাম। কিন্তু সে আমাদের সঙ্গে এতোটাই মিশে যায় যে ওকে আমরা অফিসেই রাখার সিদ্ধান্ত নেই। কেননা আমরা বেশিরভাগ সময় অফিসেই থাকি। তবে এখন সে নিজ যোগ্যতায় এ অফিসে জায়গা করে নিয়েছে।’
‘শুধুমাত্র লিখতে পারা ছাড়া অফিসের সবধরণের কাজই সে করতে পারে। তবে লিখতে না পারলেও শব্দ করে যে কোনো সিদ্ধান্তে মতামত জানায় সে।’-বলেন মানিয়ান।
মানিয়ান জানান, গুফির রয়েছে প্রচণ্ডরকম বুঝতে পারার সৃষ্টিশীল ক্ষমতা। অনেক সময় কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে না পারলে গুফিকে বিষয়টি দেখানো হয়। অনেকটা ‘বস’ এর মতোই সিদ্ধান্ত জানায় সে।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, অফিসে পোষা প্রাণি থাকলে নৈতিকতা বৃদ্ধি পায় এবং কর্মীদের চাপমুক্ত থাকতে বেশ সাহায্য করে। ‘অফিসে কখনও দু’জন সহকর্মীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুফি এগিয়ে যায় সবার আগে।’-বলেন বালা মানিয়ান।