November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

করোনায় আক্রান্ত হলে চুলের দফারফা, কেন জানেন ?

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

রোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ারও সাত মাস পেরিয়ে গেছে। চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা এর সমাধান খুঁজতে ব্যস্ত, একটি নির্ভরযোগ্য ভ্যাকসিন তৈরির নিরন্তর প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই ভাইরাস তার স্বভাব পরিবর্তন করছে এবং নানাজনের ক্ষেত্রে নানাভাবে আক্রমণ করছে।

করোনাভাইরাস সংক্রামিত ব্যক্তিদের মধ্যে চিহ্নিত লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হালকা জ্বর, কাশি এবং গলাব্যথার মতো লক্ষণ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু চুল পড়ার মতো সূক্ষ্ম লক্ষণও সময়ের সাথে সাথে প্রকাশ পেয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হলে তা থেকে সেরে ওঠার উপায় জানার পাশাপাশি কী করলে এই সময়ে চুল পড়া ঠেকানো যাবে তা-ও জেনে রাখা জরুরি।

করোনাভাইরাসের প্রতিটি জটিলতা বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে যাচ্ছেন। মারাত্মক রোগ-জীবাণু মানব শরীরে কত অকল্পনীয় উপায়ে আক্রমণ করতে পারে তা নিয়ে তারা গবেষণা করছেন।

বেশিরভাগ প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের সাম্প্রতিক যে লক্ষণগুলো এসেছে তার মধ্যে একটি হলো ক্ষতিগ্রস্ত চুল। বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত একটি গ্রুপের মধ্যে এই ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখা গেছে।

ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন অ্যান্ড সার্ভাইভার কর্পস ফেসবুক গ্রুপের জরিপ থেকে ডাঃ নাটালি ল্যামবার্টের পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী দেখা গেছে যে, চূড়ান্ত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষ ২৫টি লক্ষণের একটি হলো চুল পড়া।

সমীক্ষাটি প্রায় ১৫০০ জনের ওপর পরিচালিত হয়েছিল, যাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ছিল। তাদের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব এবং কাশি ও গলা ব্যথার চেয়ে চুল পড়ার অভিজ্ঞতা বেশি।

কেন করোনা আক্রান্ত হলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে সম্পর্কে সবারই জানার কৌতুহল। যদিও, সবগুলো লক্ষণের কারণ এখনও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি, তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন যে, এটি এই রোগের কারণে উদ্বেগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। ‘টেলোজেন এফ্লুভিয়াম’ নামে খ্যাত, এই ধরণের অস্থায়ী চুলের ক্ষতি তখন ঘটে যখন আপনার শরীরে ট্রমা, শক বা অসুস্থতার কারণে প্রচুর স্ট্রেস হয়।

এছাড়া, সংক্রমণের সময়কালে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অভাবে পুষ্টির ঘাটতির কারণেও চুল পড়তে পারে। তবে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়া কিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

কীভাবে সামলাবেন?

যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে কিছুই নির্ধারণ করা হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, চুল পড়া একটি অস্থায়ী পর্ব এবংকরোনা রোগীদের মানসিক চাপের মাত্রা কমানোর দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। তাছাড়া স্বাস্থ্যকর ডায়েট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। ভিটামিন ডি এবং আয়রন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এবং স্বাস্থ্যকর হতে পারে। এগুলো ভাইরাসের বিরুদ্ধে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আপনি একবার এই যুদ্ধে জিতলে, অন্যান্য সমস্যাগুলো শেষ পর্যন্ত কমে যাবে।

Related Posts

Leave a Reply