বাবার শেষকৃত্যে অর্ধনগ্ন মেয়েদের নাচ
কলকাতা টাইমস :
বাবার মৃত্যুতে শোকাতুর ছেলে দিশেহারা হয়ে পড়েন। অভিভাবকের মৃত্যুতে সন্তানরা কেঁদে বুক ভাসিয়ে দেন— এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু যুগের হাওয়া যেন সব ভাবাবেগ শুষে নিয়ে মানুষকে যান্ত্রিক করে তুলেছে। তাই বলে বাবার শেষকৃত্যে বিকিনি পরিহিতা মেয়েদের দিয়ে নৃত্য পরিবেশন?
বাবা ইহলোক ছেড়ে পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন। অথচ তার জন্য পড়ল না এক ফোঁটা চোখের জল। নেই শোকের লেশমাত্র। তার পরিবর্তে হল বিরাট নাচাগানা। হুল্লোড়। অর্ধনগ্না মেয়েরা চটুল গানের সঙ্গে চুটিয়ে নাচল। রঙিন জিপে বেরোল শোভাযাত্রা। এভাবেই প্রয়াত ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন হলো।
৭৬ বয়সে মারা গিয়েছেন তাইওয়ানের রাজনৈতিক নেতা তুং সিয়াং। তার মৃত্যুতে অভিনব কাণ্ডটা ঘটালেন তারই ছেলে। এক জন, দু’জন নয়, পঞ্চাশ জন পোল ড্যান্সার, বিকিনি সুন্দরীকে নিয়ে রীতি মতো সুসজ্জিত শোভাযাত্রা বের করলেন জুনিয়র সিয়াং। তার বক্তব্য, পিতা তাকে স্বপ্নে এ হেন ইচ্ছার কথাই জানিয়েছিলেন। বাবার ইচ্ছাপূরণ করার জন্যই ছেলের এমন উদ্যোগ।
সিনিয়র সিয়াং হইহুল্লোড় পছন্দ করতেন। শোকদুঃখের মধ্যে দিয়ে নয়, আনন্দ, নাচগানের মধ্যে দিয়েই পরলোকে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। যেমন ইচ্ছা তেমনই কাজ। বাবা যা চেয়েছিলেন, ছেলেও সেই ইচ্ছা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। সেই কারণেই পঞ্চাশ জন বিকিনি-সুন্দরী আর সমসংখ্যক রঙিন জিপ ভাড়া করেন ছেলে। খোলা রাস্তায় সেই জিপের উপরেই নাচলেন পঞ্চাশ জন সুন্দরী। ছেলের বক্তব্য, এতে তার বাবা খুশি মনে পরলোকে যেতে পারবেন।
জুনিয়র সিয়াংয়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন তুং সিয়াংয়ের ভাই তুং মাও সিয়াং-ও। তার বক্তব্য, দাদা, দু’ দিন আগে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। সেই কারণেই এমন আয়োজন করা হয়।
এমন কথা আগে শোনা না গেলেও এই প্রথা কিন্তু নতুন নয়। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে অনেক সময়েই মহিলাদের নাচগান করার জন্য ভাড়া করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল।