November 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা সফর

হামারখাওলিয়ান দেখুক জ্বলতে থাকা মণিপুর 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ক বছর পার হলেও থামার নাম নেই মণিপুরের জাতি দাঙ্গা। গোটা বিশ্বের কাছে মণিপুরের জিরিবাম এলাকা এখন কুকি-মেইতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জন্য কুখ্যাত। গত ৬ জুন, মণিপুরের জিরিবাম জাতিগত সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে ওঠে। অশান্তি শেষে পৌঁছায় মৃত্যুতে। এলাকার মানুষদের একাধিক সম্পত্তি নষ্ট-ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘরছাড়া হন হাজারে-হাজারে মানুষ। জিরিবাম এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের ভিটে-মাটি হারিয়ে আবার নতুন করে বাঁচার লড়াইয়ে নেমেছেন।  তাদেন মধ্যেই লালরুটম নাম এক বাসিন্দা জানালেন নিজের দু’টি দোকান হারিয়ে সেই সময় জিরিবাম ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন হামারখাওলিয়ানে। এটি  মণিপুরের একেবারেই সীমান্ত লাগোয়া একটি এলাকা। তারপর থেকে সেখানেই বসবাস করতে শুরু করেছে লালরুটমরে পরিবার।

এই হামারখাওলিয়ান এখন বহু কুকি-মেইতেই মানুষের বাঁচার ঠিকানা। বলা যায় জাতিদাঙ্গায় বিধস্ত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এটি।

জিরিবাম থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম। একদিকে  জিরিবাম যখন দুই জাতির হিংসা-দাঙ্গার উদাহরণ, সেখানে মেইতেই এবং উপজাতীয় হামার এবং কুকি সম্প্রদায়ের মানুষের একসঙ্গে মিলেমিশে থাকার উদাহরণ হামারখাওলিয়ানে। মণিপুরের পরিস্থিতি অশান্ত হলেও এখানে তার আঁচ লাগেনি। হামারখাওলিয়ানের বাসিন্দাদের মতে, ২০২৩ সাল থেকে যতই গুজব ছড়িয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হোক না কেন, এখানে কখনওই জনজাতিদের মধ্যে অশান্তি দেখা যায়নি।

কিন্তু অসমের ব্যবসা ও কৃষিকাজের বড় অংশ নির্ভর করে মেইতেই, হামার এবং কুকিদের উপর। মণিপুরী উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রীনা সিং জানান, হামার এবং কুকিরা এখানে একে অপরের সঙ্গে পরিবারের মতো থাকেন। নিজেদের মধ্যে জিনিসপত্র আদানপ্রদান থেকে শুরু করে সবকিছুই চলে তাঁদের মধ্যে। 

শুধু লালরুটমই নন, অশান্তির কারণেই হোক বা অন্য কোনও পরিস্থিতি অনেকেই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এসে জড়ো হয়েছেন। এদিকে অশান্তি থামাতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। 

Related Posts

Leave a Reply