হাতের লেখাই জানিয়ে দেবে ৭টি রোগ
কলকাতা টাইমস :
হাতের লেখা দেখে মানুষের স্বভাব, ব্যক্তিত্ব, মনের অবস্থা অনেক কিছুই বলে দেওয়া যায়। লেখা দেখে চরিত্র বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে নানা ধরণের কথা-বার্তা শুনেছেন অনেক। কিন্তু কেউ কি জানেন, হাতের লেখা থেকে জানা যাবে রোগব্যাধি। হ্যা, সত্তিই বলছি। এই লেখা দেখেই বলে দেওয়া যায় মানুষের মনো-দৈহিক অবস্থা। হাতের লেখা দেখে অন্তত আপনার ৭টি রোগের বিষয়ে জানা যাবে।
১. উচ্চ রক্তচাপ: যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাঁদের হাতের লেখা একটু হলেও এলোমেলো হবেই। এছাড়া লেখার হরফগুলিও অসমান হবে।
২. প্রেগনেন্সি: গর্ভবতী কি না তা হাতের লেখা দেখেই বলে দেওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভধারণ করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গর্ভবতী মহিলার হাতের লেখায় ধরা পড়ে সিম্পটম, যাকে বলা হয় প্রেগনেন্সি স্পট। এই স্পটটি খুঁজে পেতে অবশ্য বেশ অনেকগুলি হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে হয়। ইংরেজি ‘এ’ এবং ‘ও’ অক্ষরগুলিতে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে এই সময়।
৩. সিজোফ্রেনিয়া: সিজোফ্রেনিয়া পেশেন্টদের হাতের লেখার ধরন দ্রুত পাল্টাতে থাকে। গ্রাফোলজিস্ট বা হস্তলিপিবিশারদরা একটি বিশেষ সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে হাতের লেখা পরীক্ষা করে দেখেছেন সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত যাঁরা, তাঁরা একেক সময় একেক রকম হাতের লেখা লেখেন। না জানলে মনে হবে সবক’টি আলাদা আলাদা মানুষের লেখা।
৪. ডিসলেক্সিয়া: ‘তারে জমিন পর’ সিনেমা থেকে এই রোগটির কথা অন্তত সবাই জানেন। এই রোগের লক্ষণ হচ্ছে উল্টোপাল্টা হরফ অর্থাৎ ধরা যাক লিখতে হবে ‘ডি’ কিন্ত ডিসলেক্সিয়া পেশেন্টরা লিখবেন ‘পি’। তাছাড়া প্রভূত পরিমাণে এলোমেলো লেখা তো আছেই।
৫. অটিজম: বার বার থেমে থেমে হাতের লেখা অ্যাসপার্গাস সিনড্রোম এবং অটিজমের লক্ষণ। শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৬. পার্কিনসন্স এবং অ্যালজাইমার: বিশেষজ্ঞ ছাড়া হাতের লেখা দেখে বোঝা মুশকিল তবে সচরাচর এই ধরনের রোগ যাঁদের থাকে তাঁরা আস্তে আস্তে থেমে থেমে লেখেন। এছাড়া লেখা বেশ কাঁপা কাঁপা হয় এবং ভারসাম্যেরও অভাব থাকে।
৭. ডিপ্রেশন: যদি কারও লেখায় ইংরেজি ‘টি’ অক্ষরটির আড়াআড়ি দাঁড়িকাটা উপর দিকে উঠে থাকে তবে বুঝবেন মনের অবস্থা ভাল কিন্তু যদি হাতের লেখায় সব আড়াআড়ি দাঁড়িকাটাই নীচের দিকে নেমে থাকে তবেই বুঝবেন মনে বাসা বেঁধেছে ডিপ্রেশন।