রাত্রে গলায় ঝুলিয়ে নিন এই থলি, হাজারো সমস্যা গায়েব এতেই!
কলকাতা টাইমস :
কর্পূর হল লরেল গাছের কাঠ থেকে প্রাপ্ত এক প্রাকৃতিক উপাদান। নানা কাজে এই কর্পূরের ব্যবহার যেমন রয়েছে, তেমনই এর শারীরিক উপকারিতাও বহু। সোসাইটি ফর ন্যাচারাল রেমেডিজ অফ সিঙ্গাপুর তাদের একটি সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির নানা ধরনের ব্যবহারের মাধ্যমে বিবিধ শারীরিক সমস্যা সমাধানের কৌশল বাতলেছে। তবে কর্পূরের ব্যবহারে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বনের কথাও বলা হয়েছে গবেষণাপত্রটিতে। সাধারণভাবে কর্পূর ব্যথাবেদনা-নাশক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। বহুদিন ধরেই ব্যথাবেদনার জায়গায় কর্পূর প্রয়োগের রীতি প্রচলিত রয়েছে ভারতে। আসলে কর্পূর কোনও জায়গাকে সাময়িকভাবে অবশ করে দিতে সক্ষম। ফলে কর্পূর প্রয়োগে বেদনার অনুভূতি কমে। কিন্তু মানবত্বকে কর্পূরের এই বিশেষ প্রভাবের কারণেই কর্পূরের ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে ঠিক কীভাবে ব্যবহার করা উচিত কর্পূরকে? জানাচ্ছে ওই গবেষণাপত্রই।
বলা হচ্ছে, কর্পূর ব্যবহারের সবচেয়ে ভাল উপায় হল, রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে ছোট্ট একটি কাপড়ের থলিতে একটি কর্পূর টুকরো রেখে সেই থলিটির মুখ বন্ধ করে গলায় সুতোর সাহায্যে ঝুলিয়ে বুকের কাছে রেখে দেওয়া। এছাড়া আরও একটি উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে কর্পূর। একটি পাত্রে গরম জল নিয়ে তাতে ফেলে দিতে হবে একটি কর্পূরের টুকরো। কর্পূর জলে পুরোপুরি দ্রবীভূত হয়ে যাওয়ার পরে নিজের মুখ রাখতে হবে সেই পাত্রের মুখে। তারপর একটি তোয়ালে মাথার উপরে ফেলে ওই পাত্র থেকে উঠে আসা গরম ভাপটি শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে নিতে হবে শরীরের ভিতরে।
কী উপকার পাবেন কর্পূরের এহেন ব্যবহারে? বলা হচ্ছে, বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে কর্পূরের। যেমন—
১. পরিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি: পেটের হাজারো সমস্যা সমাধানে কর্পূর দারুণ কার্যকর। কর্পূরের সাহায্যে যেমন হজমের উন্নতি হয়, তেমনই এর ফলে গ্যাস বা অম্বলের সমস্যাও মিটে যায়।
২. শ্বাসযন্ত্রের উন্নতি: ফুসফুসকে পরিশোধিত করতে কর্পূরের জুড়ি মেলা ভার। কর্পূরের ভাপ নিয়মিত গ্রহণ করলে ফুসফুসে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি এই প্রক্রিয়ায় সর্দি বা নাক বন্ধের সমস্যা থেকেও মেলে মুক্তি।
৩. রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি: কর্পূর রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধন করে। ফলে স্বাস্থ্যের সামগ্রিক উন্নতি হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।