সুখ ও সফলতা দুই আসবে শক্তিশালী এই বৈজ্ঞানিক উপায়ে
কখনো মনে হয় যে আপনি কিছু একটা পেতে অস্থির হয়ে রয়েছেন? হতে পারে কোনো চাকরি পাওয়া বা প্রজেক্ট শেষ করা বা কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করা তাগাদা। মানুষ কদাচিৎ লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে সুখী হওয়ার প্রচেষ্টা বেছে নেয়। তারা কেবল ভেবে নেন, কিছু একটা পেলেই সুখবোধ হবে। কোনো আনন্দঘন উপলক্ষের খোঁজ করে না মানুষ। আর অনেক সময়ই এ কারণে সত্যিকার সুখ মেলে না। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কম্প্যাশন অ্যান্ড অলট্রুইজম রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন এর সায়েন্স ডিরেক্টর এমা সেপ্পালা বিজ্ঞানভিত্তিক সুখের সন্ধান করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন সুখ ও সফলতা অর্জনের কিছু ক্ষমতাশালী বৈজ্ঞানিক উপায়ের কথা।
১. কোনো মুহূর্তকে উপভোগ্য করে রাখা : কিছুক্ষণ পর কি করতে চলেছেন তার চিন্তায় অস্থির থেকে বর্তমানকে নষ্ট করবেন না। এই মুহূর্তে আপনার কাছে কি রয়েছে তার চিন্তা করুন। দেখবেন, সুখ ও সফলতা নষ্টকারী চিন্তা অনেক কমে এসেছে।
২. প্রাণোচ্ছল থাকুন : আসলে মানসিক চাপপূর্ণ পরিস্থিতি ভীতিকর বিষয় নয়। ভয়ের বিষয় তখনই আসে যখন এ অবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি না। ভালো দিকগুলো খুঁজে বের করুন। ব্যস্ত সময়ের মাঝেও সুখকর অংশগুলো আলাদা করতে প্রশিক্ষণ দিন মস্তিষ্ককে। কমিয়ে আনুন স্ট্রেস।
৩. শক্তি সঞ্চয়ে রাখুন : দীর্ঘমেয়াদে যে বিষয় কোনো গুরুত্ব রাখে না, তার পেছনে অনেক শক্তি অপচয় করবেন না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতিই মনোযোগ দিন। মানসিক শক্তি অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নষ্ট করলে প্রাণশক্তি ফুরিয়ে আসবে। এতে সুখ নষ্ট হবে।
৪. কিছুই না করা : অনেক সময় আসে যখন কিছু না করলেও চলে। এমন সময়ে সব কাজ ফেলে দিন। সৃষ্টিশীল চিন্তা বা কাজে মন দিন। এমন আইডিয়া নিয়ে চিন্তা করুন যা দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হাসিল করে।
৫. নিজের যত্ন নিন : আমরা নিজেকে যেভাবে দেখাশোনা করি, সেভাবেই অন্যরা আমাদের মাঝে কিছু দেখতে পারবেন। ক্ষোভ আপনাকে অযথাই অস্থির করে রাখবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিন। ভুল কখনো ব্যর্থতা হতে পারে না।
৬. ঝুঁকি নিন : নিরাপদ থেকে সব কাজ করা ভালো বিষয় হতে পারে। কিন্তু এটা সেরা পন্থা নয়। নতুন কিছু বুঝতে ও শিখতে বা করতে নিজের নিরাপদ ক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে আসুন। এতে রোমাঞ্চ ও সুখ মিলবে। আপনার এই দুনিয়া দেয়াল পরিবেষ্টিত একটা ক্ষেত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
৭. সহানুভূতিশীল হোন : এটি এমন এক অনুভূতি যা আপনার জীবনে অনেক মহামূল্যবান সময় ও সম্পর্ক আনতে পারে। সহানুভূতি ও সহমর্মিতার ক্ষমতাকে অবহেলা করবেন না। সফল সম্পর্ক জীবনে অনাবিল সুখ আনে। আর এর জন্য সহানুভূতির বিকল্প নেই।