মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিকে অ্যানিমিয়া! জানুন এর অন্যান্য ক্ষতিকর প্রভাব
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
সাজগোজ করতে কে না ভালবাসে! প্রত্যেকে মেয়েই চায় নিজের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে। কম-বেশি সকলেই মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকে। মেকআপ প্রোডাক্টের মধ্যে অন্যতম হল লিপস্টিক। যারা সাজতে ভালবাসে তাদের কাছে অন্তত খান দশেক লিপস্টিক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সবগুলি যে সবসময় ব্যবহার করা হয়ে ওঠে এমনটাও নয়। বিশেষ করে কোভিড মহামারির কারণে বহুদিন বাড়িতে থেকে যাওয়ায় লিপস্টিক ব্যবহারের সুযোগ হয়নি, ফলে হয়তো কয়েকটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়ে থাকবে। অনেক সময় আমরা প্রোডাক্টের মেয়াদ পরীক্ষা না করেই সেগুলি ব্যবহার করে ফেলি, তারপরেই বিপাকে পড়তে হয়। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া লিপস্টিক যে কেবল ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর তা নয়, শরীরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া লিপস্টিক চেনার উপায় এবং এটি ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে। পুরানো লিপস্টিক চেনার উপায় একটি ভাল ব্র্যান্ডের লিপস্টিক সাধারণত ১২-১৮ মাস স্থায়ী হয়। আপনার ব্যবহার করা লিপস্টিকি ভাল আছে কিনা তা বোঝার সহজ উপায় দেখুন
– – লিপস্টিকের গায়ে লেখা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখটি পরীক্ষা করে নিন। – লিপস্টিকের গন্ধ ঠিক আছে কিনা সেটা দেখুন। মেয়াদ পেরিয়ে গেলে লিপস্টিকের নিজস্ব গন্ধ আর থাকে না। খুব পুরানো হলে তা থেকে অদ্ভুত গন্ধ বেরোতে পারে।
– মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া লিপস্টিক ঠোঁট আর্দ্র করে না। ঠোঁটের সঙ্গে নিমেষে মিশে যেতে পারে না। পুরানো লিপস্টিক ব্যবহার করলে যে যে সমস্যা হতে পারে রোজ মুখে লাগান বেদানার ফেস মাস্ক, কয়েক দিনেই ফিরে পাবেন ত্বকের ঔজ্জ্বল্য!
১) মুখের চারপাশে চুলকানি : হওয়া মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিকে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা মুখের চারপাশে এবং ঠোঁটে চুলকানির কারণ হতে পারে। লিপস্টিকে ল্যানোলিন রয়েছে, যার ফলে শুষ্কতা, চুলকানি এবং ব্যথার মতো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
২) রক্তাল্পতা এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি : লিপস্টিকে উপস্থিত ল্যানোনিনের শক্তিশালী শোষণ ক্ষমতা, বাতাস থেকে ধুলো, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস শোষণ করে ঠোঁটে জমা করতে পারে। লিপস্টিক লাগিয়ে কোনও কিছু খাওয়া এবং পান করার সময়, সেগুলো শরীরে প্রবেশ করে এবং নানারকম অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। লিপস্টিকেও প্রচুর পরিমাণে সীসা এবং ক্যাডমিয়াম থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহার করলে সীসার বিষক্রিয়া হতে পারে এবং রেনাল ফেলিওর, অ্যানিমিয়া, ব্রেন ড্যামেজ এবং ব্রেন নিউরোপ্যাথি হতে পারে।
৩) ব্রেস্ট টিউমার : লিপস্টিকে প্রিজারভেটিভ এবং BHA-সহ ক্ষতিকারক পদার্থগুলি হল quasi carcinogens। তাই মেয়াদ শেষ হওয়া লিপস্টিক লাগালে ব্রেস্ট টিউমার হতে পারে। এই ধরনের লিপস্টিক লাগানোর পর কোনও সমস্যা অনুভব হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।