১১ হাজার ভোল্টের শক নিয়েও দিব্য আছে সে!
কলকাতা টাইমস :
বিশেষজ্ঞারা বলছেন, ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার কেউ স্পর্শ করলে সাথে সাথে সে ভস্ম হয়ে যাবে। ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় এ তারের মাধ্যমে এবং ৫ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকলেও কাউকে টেনে নিয়ে বিদ্যুতায়িত করতে পারে এ তার । কিন্তু এই সত্যকে মিথ্যা প্রমাণিত করে দিয়েছে দীপক।
হ্যা সত্যিই দিপকের এ অদ্ভুত ক্ষমতায় বিস্মিত সবাই। নিজের শরীরের ভেতর দিয়ে দিপক ১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে পারে এবং তাতে তার সামান্য ক্ষতি হয়না। যেখানে মাত্রা ৫০ ভোল্টে একজন মানুষ বিদ্যুতায়িত হয় সেখানে কারো শরীরে যদি ১১ হাজার ভোল্ট প্রবাহিত করা হয় তবে সাথে সাথে সে ভস্ম হয়ে যাবে।
কিন্তু দিপক শুধু ১১ হাজার ভোল্ট নয়; একসাথে পাঁচশো পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় যে তারের মাধ্যমে তাও প্রতিরোধ করতে পারে এবং তাকে তা শক করেনা।
বিদ্যুতের যেকোন মোটা তার বিদ্যুৎ থাকা অবস্থায় সে জিভে লাগাতে পারে। মোটা লাইভ তার বালতির পানিতে ডুবিয়ে তার মধ্যে হাত চুবিয়ে রাখলেও তার কিছু হয়না। কোন কিছু অনুভব করেনা সে। গায়ের সাথে বিদ্যুতের সংযোগ লাগিয়ে দিপকের শরীরে বাল্ব ছোঁয়ালে তা জ্বলে উঠে। ১১০, ২৪০, ৪৪০ ভোল্টেজ সবই তার কাছে অতিশয় তুচ্ছ।
সব তারই সে খালি হাতে ধরে নাড়াচাড়া করতে পারে। মোট কথা বিদ্যুৎ তাকে কোন অবস্থায়ই কিছু করতে পারেনা। তাই বিদ্যুতের যেকোন কাজ সে করতে পারে একদম খালি হাতে।
দিপকের বাড়ি হরিয়ানায়। তার বয়স ১৬ বছর। নিজের শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহের এ আশ্চর্য শক্তির পেছনে চেষ্টা সাধনার কোন রকম ইতিহাস নেই তার। দিপকের ভাষায় এটা ঐশ্বরিক দান। একদিন অসাবধানতাবশত তার শরীরে বিদ্যুতের তারের ছোঁয়া লাগায় সে নিজের শরীরের এ আশ্চর্য ক্ষমতার কথা আবিস্কার করতে পারে।
দিপক জানায়, তাদের বাড়ির হিটারটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেটা তিন বছর আগের কথা। তার মা তাকে অনেকদিন ধরে এটি সারানোর জন্য বলেছিল। ইলেকট্রিশিয়ানের কাছে নিয়ে যাবার সামর্থ্য তাদের ছিলনা। তাই তার মা তাকেই সেটি সারানোর জন্য চেষ্টা করতে বলেন । হিটার সারার সময় অসতর্কতাবশত লাইভ তারের সাথে তার আঙ্গুলের ছোঁয়া লাগে। কিন্তু দিপক তেমন কিছু অনুভব করেনা। সে ভেবেছিল তাদের গ্রামে মনে হয় কারেন্ট নেই। কিন্তু বাইরে গিয়ে সে জানতে পারে কারেন্ট আছে।
একের পর এক বিভিন্ন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাইভ তার, বিভিন্ন ডিভাইস, বিদ্যুতায়িত যন্ত্রপাতি খালি হাতে স্পর্শ করে সে নিজের ভেতরকার এ শক্তি পরীক্ষা করে। বারবার নানাভাবে পরীক্ষা করে সে নিশ্চিত হয়, সে আসলে একজন বিদ্যুৎ মানব।