যেকোন দেশকে হার মানায় তার কাছে থাকা যুদ্ধবিমানের পসরা
কলকাতা টাইমস :
বিভিন্ন দেশের চেয়েও বেশি যুদ্ধবিমান রয়েছে এই ব্যক্তির কাছে! কয়েক হেক্টর জায়গায় সারি করে রাখা আছে বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিমান। মিগ, এফ ১৬ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা বিমানও রয়েছে। খুব কাছ থেকে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিমান ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে কখনো? সেই সুযোগ করে দিয়েছেন ফ্রান্সের ওই ব্যক্তি। একটা বা দুটি নয়, শতাধিক যুদ্ধবিমানের মালিক তিনি।
৮৭ বছর বয়সী মাইকেল পন্ত অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাকর্মী। একজন ওয়াইন ব্যবসায়ীও তিনি। তার সংগ্রহে রয়েছে ১১০টি যুদ্ধবিমান। ফ্রান্সের বিউনে বার্গান্ডি পাহাড়ে কয়েক হেক্টর জায়গা জুড়ে রয়েছে মাইকেলের বিশাল দুর্গ। সেই দুর্গের বাগানেই রাখা আছে যুদ্ধবিমানগুলো।
শুধু যুদ্ধবিমানই নয়, মাইকেলের সংগ্রহে রয়েছে ২০০ বহুমূল্যবান পুরনো বাইক ও ৩৬টি রেসিং কার। মাইকেল নিজে একজন পাইলট ছিলেন। সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন যুদ্ধবিমান সংগ্রহের নেশা চেপে যায় তার। একটা, দুটি থেকে বাড়তে বাড়তে এখন ১১০টি যুদ্ধবিমানের মালিক তিনি।
১৯৮০ সাল থেকে সংগ্রহ শুরু করেন মিশেল। একটি রেস জেতার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পুরস্কার হিসেবে তাকে একটি যুদ্ধবিমান দেওয়া হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম আছে মিশেলের।
সেখানে তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করে তিনি আনন্দ পান। নিজে পাইলট হওয়ায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিলই। তাই বাতিল হওয়া বিমানগুলো তিনি বাহিনীর কাছ থেকে কম দামে কিনতে শুরু করেন।
যুদ্ধবিমান ছাড়াও মাইকেলের সংগ্রহে এত ধরনের গাড়ি রয়েছে যে, তার দুর্গে ৯টি সংগ্রহশালা খুলতে হয়েছে। সম্প্রতি অত্যাধুনিক এফ-১৬ বিমানও তার সংগ্রহের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও তার সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধবিমান, মিগ ২১, ব্রিটিশ আমলের সিঙ্গেল ইঞ্জিনের ডিএইচ ১১২ ভেনম।
এ ছাড়াও মাইকেলের সংগ্রহে রয়েছে দাসোর সিঙ্গেল ইঞ্জিনের মিরাজ থ্রি যুদ্ধবিমান, বেলজিয়াম বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত মিরাজ ৫ বিএ। ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার ব্যবহৃত ভটএফ-৮ ক্রুসেডারের মতো বিমানও।
২০১৯ সালে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রয়েছে ৯০টি যুদ্ধবিমান এবং শ্রীলঙ্কার রয়েছে ৭৬টি। সেখানে মাইকেলের নিজের সংগ্রহেই রয়েছে ১১০টি যুদ্ধবিমান। যদিও তার কাছে যে যুদ্ধবিমান রয়েছে, সেগুলো এখন আর সক্রিয় নেই। নিজের সংগ্রহশালাতেই মাইকেল ওই যুদ্ধবিমানগুলোকে সাজিয়ে রেখেছেন প্রদর্শনীর জন্য। প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক আসেন মাইকেলের এই সংগ্রহশালা দেখার জন্য।