মাথা যন্ত্রণা সঙ্গে মারাত্মক ক্লান্তি! কালা যাদু নয় তো?
হঠাৎই অনেকেই মারাত্মক মাথা যন্ত্রাণায় আক্রান্ত হয়ে পরেন। সঙ্গে ক্লান্তি বোধ তো থাকেই। এমনটা কেন হয়ে থাকে জানা আছে? উত্তর হয়তো বলবেন কাজের প্রেসারের কারণে। কথাটা যে একেবারে ভুল বলেছেন এমন নয়। তবে আসল কারণটা শুনলে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন। কী কারণ? এমন শারীরিক সমস্যা যদি বারে বারে হতে থাকে, তাহলে জানবেন কেউ আপনার উপর কালো যাদু করেছে। তাই তো এমন কষ্ট পাচ্ছেন আপনি। জানি জানি বিষয় শুনতে একটু আজব লাগছে। কি তাই তা? কিন্তু বিশ্বাস করুন আজকের প্রতিযোগিতাময় পরিবেশে যেখানে সবাই তার আগের জনকে মেরে আগে এগতে চাইছে, সেখানে ঈর্ষার করাণে কারও উপর এমন কুশক্তির প্রয়োগ করাটা মোটেও অস্বাভাবিক ঘটনা নয় কিন্তু!
তাই বলি সাবধান থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কালো যাদু কেউ যদি করে থাকে, তাহলে তা আটকানো সম্ভব নয়, কিন্তু তার প্রভাব কমাতে কী কী করা যেতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে। তাই তো নিরাপদে থাকতে একবার পড়ে ফলতে হবে এই লেখাটি। আসলে এই লেখাটিতে এমন বেশ কিছু শক্তিশালী মন্ত্রের সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে খারাপ শক্তির প্রভাব তো কেটে যায়ই। সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ উপকার মেলে।
এখন প্রশ্ন হল, কেউ যে আপনার উপর খারাপ শক্তি প্রয়োগ করেছে, তা বুঝবেন কী করে? এক্ষেত্রে সাধারণত যে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পেয়ে থাকে, সেগুলি হল- মারাত্মক মাথা যন্ত্রণা, সারা শরীরে ব্যথা, প্রচন্ড ক্লান্তি বোধ, ঘরের কোন জায়গায় রক্ত পরে থাকা, হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরা, শরীর থেকে আজব ধরনের গন্ধ বেরতে শুরু হওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, আত্মহত্যা করতে মন চাওয়া, পেটে যন্ত্রণা এবং সৌন্দর্য কমে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলি ঘটে থাকে। প্রসঙ্গত, এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটা যদি প্রকাশ পেয়ে থাকে, তাহলে যে যে মন্ত্রগুলি সঙ্গে সঙ্গে পাঠ করা শুরু করতে হবে। সেগুলি হল…
১. দূর্গা গায়েত্রী মন্ত্র: শাস্ত্র মতে খারাপ শক্তির প্রভাব কাটানোর পাশাপাশি যে কোনও ধরনের বাঁধা কাটাতে এই মন্ত্রটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, মনের সব ইচ্ছা পূরণের পথও প্রশস্ত হয় যদি নিয়মিত এই দূর্গা মন্ত্রটি জপ করা যায় তো। আসলে মা দূর্গা হলেন শুভ শক্তির প্রতীক। তাই তো মায়ের আরাধনা করলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল: “ওম মহা দেবি চে ভিদমাহে দূর্গায়া চা ধিমাহে তানো দেবি প্রাচোদায়াত।”
২. শক্তি মন্ত্র: কালো যাদু কে করে? যে আপনার ক্ষতি চায় সেই তো! তাই তো বলি বন্ধু নিজেকে এবং আপনার পরিবারের বাকি সদস্যদের নানাবিধ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিপক্ষকে সমূলে উপরে ফেলটা একান্ত প্রয়োজন। এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে দেখবেন কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। এখন প্রশ্ন হল, যারা আপনার খারাপ চায়, তাদের দমন করবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে নিয়মিত সকালে উঠে স্নান সেরে “ওম বিশভায়া নাম গন্ধর্বলোচিনি নামি লোউসাতিকার্নায় তাসমাই বিশওয়া সোওয়া”, এই মন্ত্রটি জপ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কোনও প্রতিপক্ষই আপনার সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি যদি কম করে ১০০০ বার পাঠ করতে হবে, তবেই মিলবে উপকার।
৩. মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র: শাস্ত্র বলে এই মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে নিয়মিত পাঠ করলে যে শুধু খারাপ শক্তির প্রভাব কাটে, তা নয়। সেই সঙ্গে আয়ুও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এই শক্তিশালী মন্ত্রটি যদি ১০৮ বার জপ করা যায়, তাহলে ছোট-বড় সব ধরনের রোগ ব্যাধির প্রকোপ কমতে শুরু করে। মেলে অপার সুখ-শান্তির সন্ধানও। ফলে জীবন সুন্দর হয়ে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- “ওম ত্রয়ম্বকম ইজামাহে সুগন্ধম পুষ্টিবর্ধনাম উর্বারুকামিবা বন্ধনাম মৃত্যুরমুকশা মামরিতাত।”