September 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

কব্জি ডুবিয়ে পমফ্রেট-টুনা খেলেই কিন্তু…!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

ব্জি ডুবিয়ে পমফ্রেট-টুনা হাঁকালে যে কি হতে পারে, সে বিষযে কোনও জ্ঞান আছে?  বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মাছের শরীরে ঠাসা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের সুস্থ থাকতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু যে ওমেগা থ্রি সাহায্য অ্যাসিড ডোবা-পুকুরের মাছে থাকে, তা কি সামদ্রিক মাছের শরীরেও মেলে? এই উত্তরের সন্ধানে গবেষণা শুরু করেছিলেন একদল বিশেষজ্ঞ। সারা বিশ্বের মাছ প্রিয় মানুষদের থেকে সন্ধান করে তৈরি করেছিলেন একটি বিশাল ফর্দ। তাতে একসে-বারকার-এক সামদ্রিক মাছের নাম ছিল। এরপর টানা কয়েক বছর কপালের ঘাম পায়ে ফেলে এইসব মাছেদের শরীর এক্স-রে করে তারা যা জানতে পরেছিলেন, তা বাস্তবিরই অবাক করার মতো ছিল। তাদের রিপোর্টে লেখা ছিল…

১. হার্টের উন্নতিতে সাহায্য করে সামদ্রিক মাছ: গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সামদ্রিক মাছ খেলে শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট মাত্রা কমতে শুরু করে। এদিকে বাড়তে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর পরিমাণ কমে গিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতা ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যত বাড়তে থাকে, তত হার্টের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। তাই তো দেহে কোলেস্টেরল নামক উপাদানটির মাত্রা যাতে কোনও ভাবে বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। না হলে কিন্তু…

২. ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: প্রতিদিন এক বেলাও যদি সামদ্রিক মাছ খেতে পারেন, তাহলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এমনটা হওয়া মাত্র থ্রম্বোসিসের আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, সামদ্রিক মাছে উপস্থিত “ই পি এ” এবং “ডি এিচ এ” নামক দুটি উপাদান ব্লাড ক্লট এবং শরীরের অন্দরে প্রদাহের আশঙ্কা কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৩. হাড় শক্তোপোক্ত হয়: সারা বিশ্বজুড়ে একাধিক কেসস্টাডি করে দেখা গেছে নিয়মিত মাছ খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যে কারণে জয়েন্টের সচলাত যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বুড়ো বয়সে গিয়ে অস্টিও আর্থ্রাইটিস মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৪.দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে: সম্প্রতি হওয়া একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রেটিনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে কোনও ধরনের চোখের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে ওমেগ থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।

৫. পুষ্টির ঘাটতি দূর করে: শরীরকে সচল রাখতে প্রয়োজনীয় একাধিক উপাদান, যেমন- আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ডি-এর সরবরাহ ঠিক রাখতে সামদ্রিক মাছ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে কর্মক্ষম রাখতে আয়োডিনের প্রয়োজন পরে, যেখানে সেলেনিয়াম ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখে। আর ভিটামিন ডি-এর কাজ কী? হাড়কে শক্তোপোক্ত রাখতে এই ভিটামিনটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

 ৬. ফুসফুস চাঙ্গা থাকে: বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রচুর মাত্রায় সামদ্রিক মাছ খেলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে অ্যাস্থেমার মতো সমস্যা কমতে একেবারে সময়ই লাগে না। শুধু তাই নয়, বায়ু দূষণের হাত থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতেও সি ফিশের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই দীর্ঘ দিন পর্যন্ত যদি ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে সামদ্রিক মাছ খাওয়া মাস্ট!

৭. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়: কব্জি ডুবিয়ে মাছের নানা পদ খেলে একদিকে যেমন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষা পায়, তেমনি একজিমা এবং সোরিয়াসিসের মতো জটিল স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। আসলে এক্ষেত্রে সামদ্রিক মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. ব্রেন পাওয়ার বাড়ায়: নিউরোলজিস্টদের মতো আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় ৬০ শতাংশই ফ্যাট দিয়ে তৈরি। সেই কারণেই তো শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত মাছ খেলে বাচ্চাদের কনসেনট্রেশন পাওয়ার খুব বেড়ে যায়, ফলে পড়াশোনার মারাত্মক উন্নতি ঘটে।

Related Posts

Leave a Reply