November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

পুরুষরা সুস্থ থাকতে চলে এই বিশেষ টিপসগুলি অবশ্যই মানুন 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

স্বাস্থ্যই সম্পদ। সেই সম্পদকে ভালো রাখতে সঠিক ডায়েট প্ল্যান মেনে চলা উচিত এবং লক্ষ্য রাখা উচিত যাতে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার আমরা প্রয়োজন মতো পরিমাণে খাই। তথাপি, বর্তমানকালে ব্যস্ততার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাও। বহু পুরুষই এখন ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন, যা একপক্ষে যেমন কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে, তেমনি নানারকম রোগের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।

কেন এমনটা হচ্ছে হচ্ছে জানেন? কারণ সমীক্ষা বলছে প্রায় ৫০%-এরও কমসংখ্যক পুরুষ শরীর সম্বন্ধে সচেতন বা শারীরিক কসরতে উৎসাহী। অধিকতর ক্ষেত্রে, বাবা-মা ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড খেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপরও। কারণ আপনাকে ডাঙ্ক ফুড খেতে দেখতে দেখতে অদূর ভবিষ্যতে আপনার সন্তানও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়বে এবং ওজনবৃদ্ধি ও নানাবিধ ক্ষতিকারক রোগের দ্বারা আক্রান্ত হবে। এই কারণেই, সঠিক ডায়েট নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস পরিবেশন করা হল বোল্ডস্কাই-এর পাঠকদের জন্য। এই নিবন্ধে আমরা এমন কিছু খাবারের সন্ধান দেব, যা আপনাকে নানান শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।

পুরুষদের জন্য ডায়েট টিপস:

১. ডায়েটে রাখুন প্রচুর ফল ও সবজি: নিজেকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই ফল এবং সবজি খাওয়া শুরু করুন। ব্রেকফাস্টে ওটস কিংবা কর্ন ফ্লেক্সের সঙ্গে সবজি বা ফল খেতে ভুলবেন না। সেলারি পাতাও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। সেলারি স্টিক পিনাট বাটারে ডুবিয়েও সেরে ফেলতে পারেন আপনার সকালের খাদ্যপর্ব। এমনটা করলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে এবং আপনিও থাকবেন একেবারে ফিট।

২. নিজেকে সুস্থ রাখতে বদ্ধপরিকর হোন: শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে মেনে চলা দরকার একটি নির্দিষ্ট ফিটনেস প্ল্যানও। সেক্ষেত্রে যোগ ব্যায়াম, জিম, দৌড়ানো সবই আছে। তবে, শরীরচর্চাতে যাতে একঘেয়েমি না চলে আসে, তার জন্য নতুন ধরনের কৌশলও অবলম্বন করতে পারেন।

৩. খাদ্যের পরিমাণের ওপর নজর দিন: শরীরকে সুস্থ রাখতে খাদ্যের সঠিক পরিমাণ এবং পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে সচেতন হওয়া দরকার। কারণ, আমাদের শরীরে অতি কম পরিমাণ খাবার যেমন ক্ষতি করতে পারে, তেমনি সমস্যা দেখা দিতে পারে মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার ফলেও। অন্যদিকে, শরীরে প্রয়োজন মতো ভিটামিন, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিও গ্রহণ করা দরকার। তবে, এত হিসাব মেনে চলা কষ্টসাধ্য মনে হলে ব্যবহার করতে পারেন “ফুড স্কেল”, যা আপনাকে পরিমিত খাবার ও তার পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে সচেতন করবে।

৪. নতুন ধরনের খাদ্যগ্রহণ করুন: ডায়েটিং মানে কিন্তু শুধুই এক ধরনের খাবার খাওয়া নয়। সেক্ষেত্রে ডায়েট প্ল্যান মানতে গিয়ে আপনার খাদ্যের প্রতি অনিহা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া মূল বিষয়টি হল যে খাবরই কান না কেন, তাতে যেন নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারের মতো উপাদান থাকে। তাই মাঝে মাঝে খাদ্যতালিকায় নতুন পদ যোগ করা যেতেই পারে।

৫. রান্নার পদ্ধতিকে সহজ এবং স্বাস্থ্যসম্মত করুন: অনেক সময়ই রান্নাকে অতিরিক্ত সুস্বাদু বানাতে গিয়ে আমরা অতিরিক্ত তেল এবং মশলার ব্যবহার করে ফেলি, যা আমাদের শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। খেয়াল রাখতে হবে, যখনই রান্না করবেন, তখন সেদ্ধ বা বেক করে নেওয়াই শ্রেয়। এতে শরীরে অতিমাত্রায় তেল প্রবেশ করবে না। এছাড়া যে সব রান্নায় তেল ব্যবহার করতে হবে, সেসব ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

এতো গেল ডায়েট প্ল্যানের কথা, এবার দেখা যাক কোন কোন খাবার খাওয়া জরুরি।

ব্লাডার ক্যান্সার রোধে ব্রকলি: ব্রকলি মুলত ক্রসিফেরাস তালিকাভুক্ত একটি সবজি, যা পুরুষদের ব্লাডার ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। পুরুষেরা সবথেকে বেশী এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন বাঁধাকপি এবং ব্রকলি।

প্রোস্টেট ক্যান্সার রোধে টমাটো: বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই বেড়ে গেছে। যদিও, সেই সম্ভবনাকে অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারেন আপনার ডায়েট চার্টের জাদুতে। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারটি টমাটো খাওয়ার চেষ্টা করুন। চিকিৎসকদের মতে, এমনটা করলে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩৫% কমে যাবে।

স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করতে খান সিফুড: কিছু স্বাভাবিক কারণেই পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমে আসে। যা পুরুষদের মধ্যে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঝিনুক এবং কাঁকড়া একটি উপাদেয় খাদ্য। সিফুডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্কের উপস্থিতি থাকায় পুরুষদের যৌনক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এমন খাবার সাহায্য করে।

রক্তচাপ কমাতে তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় পুরুষদের মধ্যে রক্তচাপের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে তরমুজ খেলে এই ধরনের ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। কোলেস্টেরল কমাতে পিনাট বাটারঃ হিসাব অনুযায়ী, পুরুষদের ক্ষেত্রে সিংহভাগেরই মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। সেক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রকে ঠিক রাখতে পিনাট বাটার খুব উপযোগী খাদ্য। প্রতিদিন সকালে পিনাট বাটার সহযোগে টোস্ট খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। মূলত, পিনাট বাটারে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টের অসুখের কমাতে সাহায্য করে।

হার্ট এবং রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে ওটমিলঃ ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় রক্তনালির কাজ ভালোভাবে সঞ্চালিত হয় এবং রক্তকে পরিশোধন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ওটমিল হৃদরোগের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।

দুর্বলতা কাটাতে রসুন: রসুনের গুণ নিয়ে কথা বলতে গেলে তো গোটা বই লিখে ফেলা যাবে। তবে, গোটা বই আপনাদের পড়তে বলছি না। শুধু বলছি রসুন খাওয়াটা শুরু করে দিন। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জীবানুনাশক উপাদান, রয়েছে আরও গুণও, যার ফলে বহু রোগের হাত থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। প্রসঙ্গত, ভিটামিন বি ওয়ান-এর শোষণ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় রসুন। সেই সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতা কমিয়ে শরীরকে সতেজ এবং কর্মচঞ্চল করে তোলে।

Related Posts

Leave a Reply