মোবাইল ফোনটা সব সময় বাঁ কানে রাখেন তো ? নাহলে …
কলকাতা টাইমস :
মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ফোনটা সব সময় বাঁ কানে রাখা উচিত কেন জানেন? ৭০-এর দশকে জন.এফ. মিচেল এবং মার্টিন কুপার যে দিন মোবাইল ফোনের আবিষ্কার করেছিলেন সেদিন সারা বিশ্বে আলোড়ন পরে গিয়েছিন। কেন পরবে নাই বা বলুন! কারণ বাস্তবিকই মোবাইল ফোন ছিল এক যুগান্তকারী আবিষ্কার, যা যোগাযোগের ভাষাটাই বদলে দিয়েছিল। তবে কয়েক দশ কাটতে না কাটতেই এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখিন হলাম আমরা।
একাধিক গবেষণার পর একথা প্রমাণিত হল যে দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে হতে পারে নানা রোগ। শুরু হল সেই নিয়ে প্রচারও। তবুও মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পর্কিত অনেক বিষয় সম্পর্কেই আমরা আজ পর্যন্ত জেনে উঠতে পারিনি। যেমন, মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় কোন কানে ফোনটা রাখলে ক্ষতি কম হয় জানা আছে? সঠিক উত্তর হল বাঁ কান। কেন? এই উত্তর খোঁজার পাশাপাশি শরীর সম্পর্কিত আরও বেশ কিছু আজানা বিষয়ের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে এই প্রবন্ধে। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের। চলুন চোখ রাখা যাক এই লেখার বাকি অংশে।
তথ্য ১: আপনি কি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন? তাহলে জেনে রাখুন, এবার থেকে ফোনে কথা বলার সময় ভুলেও ডান কানে ফোনটা রাখবেন না। কারণ বাঁ কানের তুলনায় ডান কান মস্তষ্কের বেশি কাছে থাকে। ফলে ডান কানে ফোন রেখে কথা বললে ব্রেনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, যখন মোবাইল ফোনে চার্জএকেবারে লো হয়ে যাবে, তখন ফোন ধরবেন না। কারণ সেই সময় ফোনের রেডিয়েশন লেভেল ১০০০ গুণ বেশি থাকে। ফলে ক্ষতির সম্ভবনাও অত গুণ বেড়ে যায়।
তথ্য ২: ট্যাবলেট খাওয়ার পর ভুলেও বসে বা শুয়ে পরবেন না। পরিবর্তে একটু হাঁটা-চলা বা যে কোনও ধরনের ফিজিকাল অ্যাকটিভিটি করবেন। তাতে ওষুধের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে রোগ সারবে তাড়াতাড়ি।
তথ্য ৩: স্ট্রবেরি আমরা অনেকেই পছন্দ করি। তবে আপনাদের কি জানা আছে, এই ফলটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের কু প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে সপ্তাহে ৩ গ্লাস স্ট্রবেরির রস খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
তথ্য ৪: প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেলে কি উপকার পাওয়া যায় জানা আছে? একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে এমন অভ্যাস করলে হাড় মজবুত হয়। ফলে বয়সকালে নানাবিধ হাড়ের রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
তথ্য ৫: দিনে ৩-৪ লিটার জল খেতেই হবে, যদি সুস্থ থাকতে চান তো। তবে দিনের কখন জল খেলে শরীরের বেশি কাজে লাগে, জানা আছে? একাধিক গবেষণা অনুসারে দিনের বেলা বেশি করে জল খেতে হয়, আর রাতে খেতে হয় একেবারে কম পরিমাণে। এমনটা করলেই শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।
তথ্য ৬: কথায় আছে প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে কোনও রোগই ছুঁতে পারে না। একথা একদম ঠিক। তবে আপেল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি প্রতিদিন কয়েকটা করে তুলসি পাতা খাওয়া যায়, তাহলে বেশ কিছু ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের কারণে চিন্তায় থাকেন। তাহলে রোজ একটা করে লেবু খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে।
তথ্য ৭: শরীরের বয়স ধরে রাখতে কোন খাবারটি দারুন উপকারে লাগে জানা আছে? প্রতিদিন চেরি খেলে শরীরের উপর বয়সের ছাপ একেবারেই পরে না। আসলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের ক্ষতি করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে শরীর, ভিতর এবং বাইরে থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তথ্য ৮: রক্তচাপ কমানোর পাশপাশি দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রতিদিন সেলারি শাক খাওয়া উচিত।
তথ্য ৯: চিজ এবং পনিরে ট্রাইপটোফেন নামে একটা উপাদান থাকে, যা মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি ইনসমেনিয়া এবং মাইগ্রনের যন্ত্রণা কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তথ্য ১০: রাতে ঘুমনোর সঠিক সময় কোনটা? একাধিক স্টাডি অনুসারে রাত ১০-৪ পর্যন্ত হল ঘুমনোর আদর্শ সময়। এই নিয়ম মানলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের প্রকোপও হ্রাস পেতে শুরু করে।