কলকাতা টাইমস :
মানুষ অভ্যাসের দাস। বেশিরভাগ কাজই মানুষ নিজের অভ্যাসমতো করে। কিছু ভালো অভ্যাস আমাদের আরও ভালো জীবনযাপন করতে সাহায্য করে। আর কিছু অভ্যাস রয়েছে যা শরীরকে খারাপের দিকে ঠেলে দেয়। এই খারাপ অভ্যাসগুলিতে নিয়মিতভাবে অভ্যস্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। তার ফলে নিত্যদিন নানা রোগব্যাধি লেগেই থাকে আমাদের।
জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস আপনাকে দুর্বল করে দিয়ে শরীরকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যায়।
ধূমপান : ধূমপান নিয়ে সবসময় গণমাধ্যমে প্রচার চলতে থাকে। এই অভ্যাস শরীরকে একেবারে তছনছ করে দেয়। অবিলম্বে এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।
অ্যালকোহল : শারীরিক ও পারিবারিক দুই ক্ষেত্রেই অভিশাপ হয়ে ওঠে অ্যালকোহলে আসক্তি। তাই অবিলম্বে তা থেকে বেরিয়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
জাঙ্ক ফুড : এখনকার ব্যস্ত সময়ে বাড়িতে রান্না করার সময় অনেকসময়ই পাওয়া যায় না। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কর্মরত হলে তো কথাই নেই। দুপুরের লাঞ্চে বার্গার বা সন্ধ্যায় ফেরার পথে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-ই হয়ে ওঠে একমাত্র মুশকিল আসান। তবে এইসব জাঙ্ক ফুড শরীরকে ভিতর থেকে দুর্বল করে দেয়।
ক্লান্তি : ক্লান্তিকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়ত মুশকিল। তবে তাকে কমানোর চেষ্টা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যখনই অতিরিক্ত ক্লান্ত মনে হবে নিজেকে তখনই সব কাজ থেকে সরিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের নানা ব্যায়াম করুন।
শরীরচর্চা না করা : শরীরচর্চা না করলে শরীর দুর্বল হতে বাধ্য। প্রতিনিয়ত শরীরচর্চা করলে শরীরে রোগপ্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানোর প্রয়োজুন নেই।
সাইক্লিং বা কিছুক্ষণ হাঁটা বা দৌড়নোও দারুণ কাজ দেয়।
নিদ্রাহীন থাকা : এখনকার দিনে অনেকেই সপ্তাহান্তে অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি করেন। তবে এই অভ্যাস শরীরের নানা ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। কম ঘুমের ফলে স্থূলত্ব বাড়তে থাকে, হাইপারটেনশনের সমস্যা হয়, কাজে মন বসে না, ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ইত্যাদি।
অসুরক্ষিত যৌনজীবন : যৌন মিলনের ক্ষেত্রে সবসময় সচেতন থাকা উচিত। অনিয়ন্ত্রিত ও অসুরক্ষিত যৌনজীবন শরীরের পক্ষে সবসময়ই হানিকারক।
নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া : চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে আমরা অনেকেই নানা সময়ে ওষুধ কিনে খেয়ে থাকি। অনেকেই এটিকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন। তবে সবসময় মনে রাখবেন, শরীর নিয়ে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না যাওয়াই উচিত। সামাজিক একাকিত্ব এখনকার দিনে অনেকেই সামাজিকভাবে একা হয়ে যান। যা মানসিকভাবে আপনাকে দুর্বল করে দেয়। একা বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। ফলে সুস্থ থাকতে গেলে সামাজিক বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে।