সুন্দরতা বাড়ায় কিন্তু বন্ধ্যাত্ব থেকে হার্ট ফেইলিওরও ঘটে মেকআপে
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
নিজেকে সুন্দর দেখানোর তাগিদে অনেকেই প্রতিদিন মেকআপ করে থাকেন। কিন্তু তারা জানেন না এত চড়া মেকআপ শরীরের অনেক ক্ষতি করে থাকে। মেক আপের সঙ্গে শরীর কী সম্পর্ক? সে বিষেয় জানতে চোখ রাখতে হবে এই প্রবন্ধে। আজকাল বাজারে এত ধরনের মেক আপ কিট পাওয়া যায় যে সেগুলির থেকে চোখ ফিরয়ে রাখা সত্য়িই সম্ভব নয়। কারণটা তো খুব সহজ। সুন্দর দেখতে কে না চায় বলুন! আর এই সব প্রডাক্ট তো তাদের বিজ্ঞাপনে সেই নিশ্চয়তাই দেয় যে এগুলি ব্য়বহার করবেন তো আপনার চোখ থেকে ঠোঁট, সবই এত সুন্দর দেখাবে যে কেউ আপনার থেকে চোখ ফেরাতে পারবে না।
একথা ঠিক যে মেক আপ ব্য়বহারে সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু একথাও ঠিক যে বেশিরভাগ মেক আপের প্রডাক্টে যেসব কেমিকাল ব্য়বহার করা হয় সেগুলি ত্বক এবং শরীরের জন্য় একেবারেই ভালো নয়। মেক আপের কারণে কী কী ক্ষতি হতে পারে শরীরের, চলুন চোখ রাখা যাক সেদিকে।
১. হাড়ের রোগ: কেডিয়াম নামে এক ধরনের কেমিকাল ব্য়বহার করা হয় একাধিক মেক আপ প্রডাক্টে। এই কমিকালটি যদি কোনও ভাবে ত্বক ভেদ করে হাড়ে পৌঁছে যায় তাহলে কিন্তু বিপদ! কারণ এর থেকে হতে পারে নানা ধরমের জটিল হাড়ের রোগ। ২. কিডনি ফেলিওর: এক্ষেত্রেও দায়ী সেই কেডিয়াম নামক কেমিকালটিই। এটি কোনও ভাবে যদি শরীরে মধ্য়ে প্রবেশ করে যায়, তাহলে ডিকনির মারাত্মক ক্ষতি করে। কিছু ক্ষেত্রে তো কিডনি ফেলিওরের মতো বিপদ ডেকে আনতে পারে এই উপাদানটি। তাই সাবধান!
৩. বন্ধ্যাত্ব: একাধিক লিপস্টিক, সানস্ক্রিন এবং ফাউন্ডেশনে এমন কিছু কেমিকাল থাকে যেগুলি শরীরে হরমোনের ভারসাম্য় নষ্ট করে বন্ধ্য়াত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৪. বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ব্য়হত হয়: যেসব বাচ্চা মেয়েরা অতিরিক্ত মেক আপ করে তাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে নানা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। এমনকী তাদের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াও আটকে যায়।
৫. মাথা ঘোরা: নেলপলিশ, চুলের ডাই প্রভৃতিতে টলুইন নামে এক ধরনের বিষাক্ত কেমিকাল থাকে যেটির কারণে মাথা ঘোরা, এমনকি ক্রনিক মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্য়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৬. ক্য়ান্সার: কিছু লিপ বাম, লিপস্টিক এবং সানস্ক্রিনে বেঞ্জোফেনান নামে এক ধরনের টক্সিক কেমিকাল থাকে। যটির কাজ সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির থেকে ত্বককে বাঁচানো। যদিও বাস্তবে এই কেমিকালটি নাকি ক্য়ান্সারের মতো মারণ রোগ হওয়ার পিছনে অন্য়তম প্রধান করণ, এমনটাই দাবী গবেষকদের।
৭. এন্ডোক্রিন ডিজিজ: একাধিক বিউটি প্রডাক্টে প্য়ারাবেন্স নামে এক ধরনের কেমিকাল থাকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই কেমিকালটি নানা ধরনের এন্ডাক্রিন রোগ হওয়ার পিছনে দায়ী থাকে।