এই ‘বুদ্ধিমান পোশাক’ পরলেই স্বাস্থ্যের উন্নতি

কলকাতা টাইমস :
স্বাস্থ্য সব রকমের সুখের মূল। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এতদিন নানা রকম শারীরিক কসরত ছিল আমাদের হাতিয়ার। এবার এলো অত্যাধুনিক পোশাক। বিশেষ সেন্সর লাগানো এ পোশাক সঠিক ব্যায়াম করতে সহায়তা করতে পারে। শুধু তাই নয়, পাল্স ও হৃদযন্ত্রের স্পন্দনের পরিমাপও নির্ণয় করতে পারে।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে রোগিকে সাবধান হতে হয়৷ কিন্তু সে কী করে বুঝবে কখন তার ওপর বেশি চাপ আসছে? রোগি কী করে বুঝবে যে ফিজিওথেরাফিস্টের নজরদারি ছাড়াই সে ঠিকমতো ব্যায়াম করছে কিনা? যারা একা থাকে তারা অজ্ঞান হয়ে গেলেই বা কী করে বাইরে থেকে সাহায্য পেতে পারে?
জার্মানির ফ্রাউনহোফার ইন্সটিটিউটের ক্রিস্টিয়ান হোফমান এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন৷ তিনি বুদ্ধিমান পোশাক তৈরি করছেন, যার মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রোড, পরিমাপ যন্ত্র, বিশেষ রেকর্ডার ইত্যাদি৷ তিনি জানান, ফিজিওথেরাপির মতো খালি হাতে ব্যায়ামের কথাই ধরা যাক৷ রোগি যখন নিজের বাসায় ব্যায়াম করে তখন সেটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা বোঝার উপায় নেই৷
তিনি আরো বলেন, তখন ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে ছুটতে হয়৷ তার সামনে ব্যায়াম করলে তিনি বলে দিতে পারেন সেটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা৷ এ জ্যাকেট পরলে আর আর কোনো সমস্যা নেই৷ বাসায় ব্যায়াম করলেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে থেরাপিস্ট নজর রাখতে পারবে।
হোফমান এ জ্যাকেটে মোট ১১টি সেন্সর বসিয়েছেন৷ পরীক্ষামূলক এ জ্যাকেট আর পাঁচটা স্পোর্টস জ্যাকেটেরই মতোই দেখতে৷ প্রায় পাঁচ বছর ধরে গবেষকরা বুদ্ধিমান পোশাক তৈরির কাজ করছেন৷ হোফমান মনে করেন, এর মধ্যে বিপুল সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে৷
তার তৈরি নতুন টিশার্টেও সেন্সর বসানো হয়েছে৷ তবে সাধারণ পাল্স মাপার যন্ত্রের মতো শুধু হৃদযন্ত্রের স্পন্দন নয়, এতে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসও মাপা যায়৷ ফলে খেলোয়াড় ও ফিজিওথেরাপির রোগীদের শক্তি ও চাপ নেয়ার ক্ষমতা প্রায় নিখুঁতভাবে জানা যায়৷
বাজারে আসা পর্যন্ত হোফমান ও তার সহকর্মীরা আরো এমন বুদ্ধিমান পোশাক তৈরির কাজে ব্যস্ত৷ যেমন সেন্সর লাগানো গালিচা বা দমকল কর্মীদের বিশেষ পোশাক৷ তারা আগুন নেভাবার সময় সেন্সরের মাধ্যমে দূর থেকে তাদের বিপদের মাত্রা বোঝা যাবে৷ প্রয়োজনে তাদের উদ্ধার করা সহজ হবে৷ এমন প্রযুক্তির প্রয়োগের সত্যি কোনো সীমা নেই৷