এগুলি ভীষণ পুষ্টিকর খাবার কিন্তু গ্যাসের ডিপো
কলকাতা টাইমস :
গ্যাস, অম্বল, বদহজমের সমস্যা নতুন কিছু নয়। এখনকার দিনে কমবেশি সব মানুষই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। নানা ধরনের খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাত্রার পরিবর্তন পেটের একাধিক সমস্যার সৃষ্টি করে।
গ্যাসের সমস্যা হলে শরীরে যেমন অস্বস্তি হতে থাকে, তেমনই খিদে কমে যায় ও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়। মাথা ধরা, গা গুলিয়ে ওঠা, বমি, এমনকী হার্টের উপরেও চাপ ফেলে গ্যাসের সমস্যা। তবে শুধু অস্বাস্থ্যকর খাবারই নয়, স্বাস্থ্যকর খাবারও পেটে গ্যাস হওয়ার জন্য দায়ী। নিচের স্লাইডে সেরকমই কয়েকটির নাম দেওয়া হয়েছে।
নানা ধরনের ডাল
নানা ধরনের ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। এছাড়াও থাকে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ। কিন্তু বহু মানুষ রয়েছেন যাদের ডাল খেলে গ্যাস হয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ডালকে রান্নার আগে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন।
রসুন
কাঁচা রসুন খেলে বা রান্নায় বেশি রসুন খেলে গ্যাস হয়। তাই রান্নার সময়ে খেয়াল রাখবেন রসুনটি ঠিকমতো সেদ্ধ হয়েছে কিনা।
পেঁয়াজ
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে গ্যাস হয়। এর থেকে বাঁচতে পেঁয়াজ ভালো করে রান্না করে খান।
ব্রকোলি, ফুলকপি, বাধাকপি
ব্রকোলি, ফুলকপি ও বাধাকপি পুষ্টিকর হলেও এগুলি খেলেই গ্য়াস হয়। এতে থাকা ফাইবার, নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ, আয়রন ইত্যাদি শরীরে পুষ্টি জোগালেও এতে গ্যাস হয় প্রচুর। এর বদলে পালং শাক, শশা, লেটুস ইত্যাদি ডায়েটে যোগ করতে পারেন।
গম
আটার বানানো কোনও জিনিস খেলে অনেকের গ্যাস হয়। গমের মধ্যে থাকা গ্লুটেন নামের প্রোটিন এই গ্যাস তৈরির মূল অনুঘটক।
ডেয়ারি পণ্য
দুধ, চিজ, দই, মাখন ইত্য়াদি খেলে অনেকের গ্যাস বা অ্যাসিডিটি হয়।
বার্লি
পেট খারাপ হলে অনেকেই বার্লি খান। ফাইবার, ভিটামিন, খনিজে সমৃদ্ধ এই খাবারটির পুষ্টিগুণ অনন্য হলেও এটি খেলে গ্যাস হয়।