ঘরের বিষেই হৃদয় খান-খান, আপনি নিরাপদ তো?
কলকাতা টাইমস :
ঘরে থেকেও আপনি বায়ু দূষণের শিকার নয় তো? সাবধান! কারণ, মার্কিন গবেষকরা দাবি করছেন, রাস্তাঘাটের দূষণের থেকে আপনার ঘরের দূষণ কোনো অংশে কম বিপজ্জনক নয়। ঘরের এই দূষণকে আমরা বিশেষ পাত্তা না দিলেও, দীর্ঘদিন যদি কাউকে এমন পরিবেশে কাটাতে হয়, তাঁর মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এমনকী আপনার মৃত্যুর কারণও হতে পারে ঘরের বায়ু দূষণ। বিশেষত, যাঁরা এখনও কেরোসিনে রান্না করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনও বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই কিন্তু দারিদ্র্যের মধ্যে অতিবাহিত করেন। কেরোসিন জাতীয় কোনও জ্বালানি তেলে রান্না করতে হয়। এমনকী রাতে ঘরে আলো জ্বালতে কেরোসিনই তাঁদের ভরসা, বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়া যায়নি।
মার্কিন নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এই গবেষক দলটির অন্যতম সুমিত মিত্তের জানান, ঘরে কেরোসিন ডিজেলের মতো জ্বালানি ব্যবহারের কারণে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এমনিতেই বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর বড় কারণ হার্টের নানা অসুখ। সেই মৃত্যুতে ইন্ধন জোগাচ্ছে গৃহস্থের জ্বালানি। কারও বাড়িতে যদি একটানা দশ বছর ধরে এভাবে কেরোসিন, ডিজেলে রান্না হয়, তাঁদের মধ্যে ‘কার্ডিওভাসকুলার’ সংক্রান্ত মৃত্যুঝুঁকি ১১% বেড়ে যায়। ইসচেমিক হার্ট ডিজিজের সম্ভাবনা বাড়ে ১৪%। যাঁরা প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো ক্লিনার ফ্লুয়েলে রান্না করেন, তাঁদের বরং মৃত্যুঝুঁকি ৬% কম (যাঁরা কেরোসিন ব্যবহার করেন তাঁদের তুলনায়)।
ইরানে ২০০৪ থেকে ২০০৮-এর মধ্যে গৃহস্থ বাড়ি ঘুরে বায়ু দূষণের এই পরীক্ষা হয়। কেরোসিন ছাড়াও ডিজেল, কাঠ, ঘুঁটে ও প্রাকৃতিক গ্যাসে কী পরিমাণ দূষণ ছড়ায়, আলাদা আলাদাভাবে তা পরীক্ষা করে দেখেন গবেষকরা।