November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

বাচ্চায় দেরি বা না হলে হার্টকে হারাতে হবে কিন্তু!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
কাজের চাপে সেই ভাসবাসা আসতে এতটা দেরি করে ফলছে যে বিয়ে হতে হতে ৩০-এর কোটা পেরচ্ছে। আর বাচ্চা হতে আরও ২ বছর। এত সময়ের পরে বাচ্চা নেওয়ার কারণে পুরুষ এবং মহিলা, উভয়ের মধ্যেই বন্ধ্যাত্বে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যাচ্ছে বেড়ে। সেই সঙ্গে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে দেরি করে বাচ্চা নিলে মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
অ্যানুয়াল কংগ্রেস অব আমেরিকান সোসাইটি ফর রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিনের সভায় এই তথ্যটি সামনে এনেছেন একদল গবেষক। তাদের মতে বাচ্চা হওয়ার আগে এবং পরে মায়ের শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে থাকে যার প্রভাবে অনেক রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই কারণেই তো সময় থাকতে থাকতে বাচ্চা নিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। না হলে হার্ট কখন যে নিজের কাজ করা কখন বন্ধ করে দেবে, তা কিন্তু জানতেও পারা সম্ভব হবে না।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই লেখায় যে যে খাবারগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, সেগুলি নিয়মিত খেলে বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তবে নতুন এই ডায়েট শুরু করার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। তাতে আরও ভাল ফল পাবেন। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে প্রতিদিনের ডায়েট চার্টে যে যে খাবরগুলি রাখতে হবে, সেগুলি হল…
১.কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট: হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রেগন্যান্সির সঙ্গে ডায়েটের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তাই ঠিক ঠিক খাবার খেলে গর্ভাবস্থার আগে এবং পরে কোনও ধরনের জটিলতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাহলে এখন প্রশ্ন হল মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কেমন ধরনের খাবার খেতে হবে? এক্ষেত্রে এমন খাবারগুলি রোজের ডায়েটে রাখতে হবে, যাতে থাকবে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। কারণ এই ধরনের খাবার খেলে ব্লাড সুগার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। সেই সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত, ফল, সবুজ শাক-সবজি, বিনস এবং হোল গ্রেনে যেমন প্রচুর মাত্রায় কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট থাকে, তেমনি থাকে ফাইবারও।
২. আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট: কর্ন, সয়াবিন, শণ বীজ, বাদাম এবং মাছে প্রচুর মাত্রায় আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই উপাদানটির মাত্রা শরীরে বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে, তেমনি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে সুস্থ গর্ভধারণের পথ প্রশস্ত হয়। 
৩. প্রোটিন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক মহিলারই ওজন খুব বেড়ে যায়। ফলে বাচ্চা নেওয়ার সময় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সেই কারণেই বেশি বয়সে বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে নির্দিষ্ট মাত্রায় উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ বিনস, বাদাম, বীজ এবং টফুতে একদিকে যেমন প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন থাকে, তেমনি থাকে উপকারি ফ্যাট, যা ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার ওজন কম গেলে গর্ভাবস্থার আগে এবং পরে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। 
৪. দুধ: একাধিক গবেষণা দেখা গেছে নিয়মিত দুধ, দই বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে সুস্থ গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে, কমে নানা কম্পলিকেশনের আশঙ্কা। গবেষকদের মতে একাধিক বার এমনটা দেখা গেছে যেসব মহিলারা একেবারে দুগ্ধজাত খাবার খায় না, তাদের একটু বেশি বয়সে বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই রোজের ডায়েট থেকে দুধ-দইকে বাদ দিলে কিন্তু চলবে না।
৫. মাল্টিভিটামিন: হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির করা এক গবেষণায় দেখা গেছে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর যদি নিয়মিত ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড এবং ৪০-৮০ মিলিগ্রাম আয়রন ট্য়াবলেট খাওয়া যায়, তাহলে শরীর আসন্ন পরিবর্তনের জন্য তৈরি হয়ে যায়। ফলে প্রেগন্যান্সিতে কোনও সমস্যাই হয় না।

Related Posts

Leave a Reply