হৃৎস্পন্দন গুনেই জানা যায় মৃত্যুর সম্ভাবনা!
কলকাতা টাইমস :
আপনার হৃৎস্পন্দন কি পুরোপুরি নিখুঁত, নাকি কিছুটা অনিয়মিত, এ বিষয়টি জানতে পারলেই আপনার আয়ু বিষয়ে অনেক কিছু বলা সম্ভব হবে। কারণ গবেষকরা বলছেন, হৃৎস্পন্দন পুরোপুরি নিখুঁত নয় কিংবা এতে সামান্য অস্বাভাবিকতা থাকলেই তা অসুস্থ দেহের লক্ষণ প্রকাশ করে। এছাড়া হৃৎস্পন্দনের আরও কিছু বিষয় রয়েছে, যা দেখে আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বোঝা যায়।
হৃৎস্পন্দন দেখে মৃত্যুর সম্ভাবনা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছেন বলে নতুন গবেষণায় দাবি করেছেন গবেষকরা। এতে জানা গেছে, শ্বাসপ্রশ্বাসের সামান্য অস্বাভাবিকতা বড় কোনো সমস্যা প্রকাশ করে না। কিন্তু হৃৎস্পন্দনের সামান্য অস্বাভাবিকতা বড় সমস্যা নির্দেশ করে। এমনকি হৃৎস্পন্দনের এ অস্বাভাবিকতার দ্রুত মৃত্যুরও ইঙ্গিত দেয়।
সম্প্রতি টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিট অব মিউনিখ হৃৎস্পন্দনের নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছে। এতে তারা হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্পর্কও নির্ণয় করে। এ গবেষণায় তারা হৃৎস্পন্দনের ওপর নির্ভর করে কারো স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানার জন্য একটি নতুন ধরনের পদ্ধতি তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে গবেষকদের একজন জর্জ স্মিড বলেন, ‘আমাদের উদ্যোগের ফলে আপনি হয়ত বলতে পারেন আমরা সে মুহূর্তটি নির্ণয় করছি, যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
গবেষণাপত্রটির প্রাথমিক লেখক ড্যানিয়েল সিনেকার বলেন, ‘আমাদের পদ্ধতিতে খুবই নির্দিষ্টভাবে দেহের কার্যক্রমের চিত্র ধারণ করা হচ্ছে।’
আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ গবেষণার জন্য হার্ট অ্যাটাকের ঠিক পরবর্তী সময়ে ৯৫০ জন রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস ও হুৎস্পন্দন পরিমাপ করা হয়।
এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ছয় মাস পর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে দীর্ঘ পাঁচ বছর। এতে দেখা যায় যাদের সামান্যতম অ্যারিথমিয়া বা হৃৎস্পন্দনের অস্বাভাবিক ছন্দ সমস্যা রয়েছে তাদের শ্বাসজনিত অস্বাভাবিকতার রোগীদের তুলনায় আগামী পাঁচ বছরে মৃত্যুর সম্ভাবনা পাঁচ গুণ বেশি থাকে।
গবেষকরা জানিয়েছেন এ বিষয়ে গবেষণাটির তথ্য চিকিৎসাক্ষেত্রে অত্যন্ত মূল্যবান এবং ধারণা করা হচ্ছে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তা চিকিৎসাক্ষেত্রে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।