দেখে নিন ভাইরাস থেকে বাঁচার কিছু সেফটি টিপস্
কলকাতা টাইমস :
উহান (চীন) শহর থেকে শুরু করে, করোনা ভাইরাস (COVID-19) এখন ইরান, ইতালি, জাপান, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই দেশগুলিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাসের সংক্রামক প্রকৃতির কারণে খুব শীঘ্রই এটি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্বারা ঘোষিত করোনা ভাইরাস সুরক্ষা টিপসগুলি একবার দেখুন এবং আপনার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিন।
১) ভ্রমণ এড়ানো
প্রথমত, আপনার যদি ফ্লুর মতো লক্ষণ যেমন – কাশি, জ্বর, সর্দি বা হাঁচির মতো সমস্যা থাকে তবে যেকোনও ধরনের ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
২) জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলুন
এমনও হতে পারে যে, কোনও ব্য়ক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ নেই, সে স্বাভাবিক কিন্তু,তার মধ্যেও এই রোগের জীবাণু থাকতে পারে। কারণ এই সংক্রমণটি রোগীর মধ্যে ফুটে ওঠে ১৪ দিনের মধ্যে। সুতরাং, জনবহুল জায়গা এড়িয়ে চলুন কারণ আপনি নিজেও জানেন না যে কার মধ্যে এই ভাইরাসটি আছে এবং আপনাকে সংক্রমিত করতে পারে।
৩) নিজের চিকিৎসা করান
আপনি যদি করোনা ভাইরাস সংক্রামিত দেশ থেকে আসেন এবং ফ্লু-এর লক্ষণ ও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় তবে, অবিলম্বে চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
৪) দূরত্ব বজায় রাখুন
যাদের ফ্লু বা সর্দির লক্ষণ রয়েছে তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় ০.৫ মি থেকে ২ মি দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলুন।
৫) হাত পরিষ্কার রাখুন
কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান এবং জল বা অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।
৬) ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন
প্রতিদিন আপনার বাড়ির চারপাশ, টেবিল, টয়লেট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সুইচ এবং স্টেশনারি জিনিস পরিষ্কার করার জন্য জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।
৭) সংক্রামিত হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করবেন না
যখন কোনও সংক্রামিত ব্যক্তি কোনও মাস্ক ছাড়াই হাঁচি দেয় বা কাশি হয়, তখন প্যাথোজেনগুলি ফোঁটা আকারে বেরিয়ে আসে এবং চেয়ার বা টেবিলের মতো জিনিসগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। অন্য কোনও ব্যক্তি যখন সেই জিনিসগুলিকে স্পর্শ করে এবং সেই হাত দিয়ে তার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করে, তখন রোগের জীবাণুগুলি এর মাধ্যমে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তাকে সংক্রামিত করে। প্যাথোজেন জিনিসগুলিতে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে।
৮) প্রবীণদের বিশেষ যত্ন
বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে যার কারণে বৃদ্ধ এবং পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৯) মুখ এবং নাক ঢেকে রাখুন
আপনার যদি ফ্লু-এর মতো লক্ষণ থাকে এবং কাশি বা ঘন ঘন হাঁচি হয় তবে সর্বদা টিস্যু ব্যবহার করুন এবং ব্যবহারের সাথে সাথেই এটি ত্যাগ করুন। আর, অ্যালকোহল ভিত্তিক সাবান এবং জলে হাত ধুয়ে নিন।
১০) মাস্ক স্পর্শ করবেন না
আপনি যদি মুখ এবং নাক ঢাকতে মাস্ক পরে থাকেন তবে একবার এটি পরে যাওয়ার পরে খালি হাতে এটিকে স্পর্শ করবেন না। এছাড়া, মাস্কটি ব্যবহারের পরে এটি নিরাপদে সরিয়ে ফেলুন বা একবার ব্যবহারের পর তা বাতিল করুন। সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুয়ে ফেলুন।
১১) এক্সট্রা মাস্ক বহন করুন
কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে এমন সম্ভাবনা সম্পর্কে অনেকেই সিরিয়াস নয়। যদি আপনি এমন কাউকে দেখেন যার মধ্যে ফ্লু জাতীয় লক্ষণ আছে তবে তার মুখ ঢাকতে তাকে এক্সট্রা মাস্কটি দিন।
১২) কাঁচা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন
কেবলমাত্র সঠিকভাবে রান্না করা খাবার খান এবং রান্না না করা বা অর্ধেক রান্না করা খাবার বা মাংস জাতীয় খাবার এড়ানো উচিত। এমনকি, আপনি যদি কাঁচা মাংস বা মৃত প্রাণীর কোনও অংশ স্পর্শ করেন তবে অবিলম্বে হাত ধুয়ে ফেলুন।
১৩) যেখানে সেখানে থুথু ফেলবেন না
আপনি যখন জনসাধারণের মাঝে থাকবেন তখন যেখানে সেখানে থুতু ফেলা এড়ান কারণ এর মাধ্যমে কেউ সংক্রামিত হতে পারে।
১৪) প্রাণীদের সঙ্গে ক্লোজ হওয়া এড়ান
খামার বা পশুর বাজারে বা যেখানে পশু কাটা করা হয় সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও, জীবিত প্রাণী যারা অসুস্থ তাদের সাথে যোগাযোগ এড়ান।