November 12, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular সফর

এখানে এখনো শোনা যায় প্রেমিকার করুন কান্না 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

যারা ভূতে বিশ্বাস করে তাদের মতে, বিশ্বের সব জায়গাতেই কম বেশি ভুতুড়ে স্থান রয়েছে। শুধু এই অঞ্চলের মানুষই নয়, পশ্চিমেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ভৌতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি বিশ্বাস রাখেন। ইউরোপ-আমেরিকা তো প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ দিনে হ্যালোইন উৎসবই করে থাকে।

ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ডেও বেশ কিছু স্থান নিয়ে রহস্য রয়েছে। অনেকের ভৌতিক অভিজ্ঞতা হওয়ায় সেসব স্থান সম্পর্কে বাড়তি সাবধানতাও নিতে দেখা যায়। যেমন রাতে কোনভাবেই সেখানে কেউ অবস্থান করেন না। প্রয়োজন ছাড়া স্থানীয় মানুষেরা সেসব স্থানের কাছেও যান না। আয়ারল্যান্ডের এমনই কিছু স্থান নিয়ে পরিবর্তনের এবারের আয়োজন।

১. হিলফায়ার ক্লাব, ডাবলিন:

এর অবস্থান ডাবলিন পাহাড়ে। এমনিতেই আঠারো শতকে নির্মিত এই স্থাপত্য পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণের। তবে এর সঙ্গে ভৌতিক বিষয় জড়িয়ে থাকায় আলাদা পরিচিতিও পেয়েছে। কথিত আছে, প্রতি রাতে এই স্থানে শয়তান যাতায়াত এবং অবস্থান করে থাকে। একবার এক প্রচণ্ড সাহসী ব্যক্তি হিলফায়ারে গিয়ে এমন সব অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন যা বর্ণনার অতীত। শোনা যায়, সেই ব্যক্তি নাকি এমন এক মুখচ্ছবি দেখেছিলেন যা ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হয়।

২. রোজ ক্যাসল, কো ম্যাথ:

যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের ভৌতিক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম এই রোজ ক্যাসল। ষোড়শ শতকে এই দুর্গে ঘটে যায় হৃদয়ঘটিত এক মর্মান্তিক ঘটনা। দুর্গের নির্মাতা ব্ল্যাক ব্যারন খ্যাত লর্ড রিচার্ড ডেভনের মেয়ে সাবরিনা স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে যায়। সাবরিনা ব্রিটিশ হলেও অরউইন নামের ওই যুবক ছিলেন আইরিশ। ফলে এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করেন লর্ড রিচার্ড। অত্যাচারী বলে রিচার্ডকে স্থানীয়রা নাম দিয়েছিল ‘ব্ল্যাক ব্যারন’। তিনি মেয়ের প্রেমিককে হত্যার সিদ্ধান্ত নিলে দু’জনে পালিয়ে যায়। কিন্তু নদী পাড়ি দেয়ার সময় তাদের নৌকা ডুবে গেলে দু’জনেরই সলিল সমাধি ঘটে। এরপর থেকে নাকি দুর্গের ভেতরে গভীর রাতে সাবরিনার কান্নার শব্দ এখনও শুনতে পাওয়া যায়।

৩. লোফটাস হল, ওয়েক্সফোর্ড:

হুক উপত্যকায় অনেকটা হিলফায়ার ক্লাবের মতো আয়তনের ১৭ শতকে নির্মিত ভবনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভৌতিক রহস্য নিয়ে। ভবনটি বর্তমানে হোটেল হিসেবে ব্যবহার হলেও অনেক গ্রাহকই রাতে নানা ব্যাখ্যাতীত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন।

৪. এনট্রিম দুর্গ:

ভৌতিক হিসেবে পরিচিত এই দুর্গটির নির্মাণ ১৬১৩ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৬৬২ সালে। জানা গেছে, ১৯২২ সালে এক অগ্নিকাণ্ডে দুর্গটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। আর ১৯৭০ সালে এটি একেবারেই ধ্বংস হয়ে যায়। বলা হয়, যারা ঐতিহাসিক দুর্গটি দেখতে যান তাদের অনেকেই রহস্যময় এক নারীমূর্তিকে দেখতে পান। অনেকের দাবি, উনিশ শতকের গোড়ায় অগ্নিকাণ্ডের সময় সেই মহিলা নাকি প্রাণ হারিয়েছিলেন।

Related Posts

Leave a Reply