মাদ্রাসা নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তর
কলকাতা টাইমস :
অসমে মাদ্রাসা বিতর্কে ফের নব সংযোজন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, রাজ্যে মাদ্রাসা কমিয়ে বাড়ানো হবে আধুনিক শিক্ষার পরিকাঠামো।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে মাদ্রাসাগুলি চালু থাকবে সেগুলিকে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদনহীন মাদ্রাসা চালানা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সংখ্যালঘু সমাজের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা চলছে। মুসলিম সমাজের বিশিষ্টজনেরা সরকারের সঙ্গে সহমত। তাঁরা আধুনিক শিক্ষার প্রসার চান। যদিও মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষামহলের বক্তব্য, এখন গোটা দেশেই মাদ্রাসা শিক্ষায় ধর্মশিক্ষার পাঠক্রম কমিয়ে বিজ্ঞান পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অসমে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা, বিশেষ করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মাদ্রাসা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে সে রাজ্যে। হালে সরকার জানিয়েছে, মাদ্রাসার শিক্ষকদের মাঝেমধ্যে স্থানীয় থানায় হাজিরা দিতে হবে। ওই সিদ্ধান্তের কারণ হিসাবে সরকারের তরফে বলা হয়, পুলিশ কিছু মাদ্রাসা চিহ্নিত করেছে যেখানে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা শিক্ষক হিসাবে যুক্ত আছেন। সরকার তাই সব মাদ্রাসা শিক্ষককেই থানায় নিজের নাম-পরিচয় নথিভুক্ত করাতে চাইছে।
সরকারিভাবে এই ব্যাপারে নির্দেশ জারি না হলেও এই ভাবনা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে, ভারতীয় নাগরিককে কেন থানায় গিয়ে নাগরিকত্বের প্রমাণ দাখিল করতে হবে। অসম কি ভারতের অংশ নয়!
হায়দরাবাদের সাংসদ এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়েইসি প্রশ্ন তুলেছেন, আরএসএস পরিচালিত স্কুলগুলির ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করবে অসম সরকার। ওই সব স্কুলেও ভিন রাজ্যের শিক্ষকেরা আছেন। তাঁর আরও প্রশ্ন, অন্য রাজ্যে যদি অসমের শিক্ষকদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হয়, তখন কী হবে।