‘হিম্মতওয়ালা’ কেন দুর্ভাগ্যের কারণ ছিল তার কাছে

কলকাতা টাইমস :
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮। সেই কালো দিন যেদিন টিনসেল হারালো এক কিংবদন্তী অভিনেত্রীকে। দুই বোন হারালো তাদের মাকে। এই তারিখেই রাতে আকস্মিক মৃত্যু হয় শ্রীদেবীর।
তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। বহুদিন ধরে অনেকে এই দুর্ঘটনাকে মন থেকে মেনেই নিতে পারেনি। শ্রীদেবীকে নিয়ে আর কোনও লেটেস্ট আপডেট পায় না তার ফ্যানেরা কিন্তু ‘হাওয়া হাওয়াই গার্ল’কে নিয়ে কী খবরের অভাব হয়। টিনসেলকে তিনি যা দিয়ে গিয়েছেন, তার সেই অবদান অবিস্মরণীয়। ‘শ্রীদেবী : দ্য ক্যুইন অফ হার্টস’ বইতে শ্রীদেবীর এক সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখিত রয়েছে। যেখানে কিছু এমন তথ্যের কথা সামনে এসেছে যা হয়তো খুব মানুষই জানে। শ্রীদেবীর সাউথ ইন্ডাস্ট্রি মাধ্যমে অভিনয়ের হাতেখড়ি হলেও, বলিউডে তার প্রায় প্রতিটি ছবি সুপারহিট। বলিপাড়ার কুইন হয়ে উঠেছিলেন খুব কম সময়ের মধ্যেই। ১৯৮৩ সালের ব্লকবাস্টার ছবি ‘হিম্মতওয়ালা’ ছবির পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠেন তিনি। তার আগে বহু ছবি করেছিলেন বটে কিন্তু তার সমসাময়িক অভিনেত্রী জয়া প্রদার জনপ্রিয়তার জন্য শ্রীদেবীর ভূমিকা টিনেসেল অসম্পূর্ণই থেকে যাচ্ছিল। ‘হিম্মতওয়ালা’ পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল শ্রীদেবীর ভাগ্য। রাতারাতি ফেমাস হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই ছবিকেই সেই পুরনো সাক্ষাৎকারে দুর্ভাগ্য বলেছিলেন। নিজের জীবনের সেরা ছবিকে কেন ব্যাড লাক বলেছিলেন সেই কারণও ব্যক্ত করেছিলেন।
তার কথায়, তিনি গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী কোনওদিনই হতে চাননি। তিনি তার অভিনয় ক্ষমতায় মুগ্ধ করতে চেয়েছিলেন দর্শকদের। ‘তামিল ছবিতে দর্শকরা আমায় সাধারণভাবে অভিনয় করতে দেখতে চায়। কিন্তু হিন্দি ছবিতে গ্ল্যামারটাই বেশি প্রাধান্য পেয়ে এসেছে। আমি যখন ‘সদমা’ করলাম ছবিটা ফ্লপ হয়ে গেল। আর ‘হিম্মতওয়ালা’ সেরা হিট ছবি। আমার মনে হয়, প্রথম হিন্দি কামর্শিয়াল ছবি হিট হওয়াটা ব্যাড লাক।’