ভারতে কমছে হিন্দু বাড়ছে মুসলমান, চমকে দেবে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান
কলকাতা টাইমস :
সাতটি মুসলমান দেশের বাসিন্দাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিতর্কে সৃষ্টি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু, কীসের ভয় তার? ধর্মনিরপেক্ষ ভারত তো ভয় পায় না!
পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে আদালত। ট্রাম্পের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আমেরিকায় ঢুকতে পারবে না ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের বাসিন্দারা। তবে সিরিয়া থেকে আসা উদ্বাস্তুরা কখনই আমেরিকায় প্রবেশাধিকার পাবেন না। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট মনে করছেন সেখানকার উদ্বাস্তুরা আমেরিকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে না, ততক্ষণ এই সিদ্ধান্তের কোনও নড়চড় হবে না।
সত্যিই কি দেশের নিরাপত্তা, নাকি মুসলমান সম্প্রদায়ের উপরে চাপ তৈরি করতেই এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের? ডোনাল্ডের দেশে সর্বশেষ সমীক্ষা অনুসারে সে দেশের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ মুসলমান সম্প্রদায়ের। আর সেখানে ভারতে ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে ভারতে মুসলমান জনসংখ্যা ১৪ শতাংশের বেশি।
২০১৫ সালে ধর্মীয় ভিত্তিতে আদমশুমারির ফলাফল প্রকাশ করে মোদি সরকার। তাতে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন- সব সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রকাশ করা হয়। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জনগণনায় দেখা যায়, এই সময়ে দেশে মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি গড়ে ২৭.৬ শতাংশ। অন্য দিকে, হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি তুলনায় মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে এগিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, মালদা ও উত্তর দিনাজপুরে হিন্দু জনসংখ্যার থেকে ছাপিয়ে গিয়েছে মুসলিম জনসংখ্যা। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা যদি ০.৭ শতাংশ কমে, পশ্চিমবঙ্গে কমেছে ১.৯৪ শতাংশ। ঠিক তেমনই মুসলিম জনসংখ্যা ভারতে ০.৮ শতাংশ বেড়েছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে ১.৯৯ শতাংশ।
জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের তিন জেলায় এগিয়ে রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়। মুর্শিদাবাদে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৭ লক্ষ, হিন্দু ২৩ লক্ষ। মালদায় ২০ লক্ষ মুসলিম, হিন্দু ১৯ লক্ষ। উত্তর দিনাজপুরে ১৫ লক্ষ মুসলিম, ১৪ লক্ষ হিন্দু।
২০১১ জনগণনা
পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যা- ৯,১২,৭৬, ১১৫ জন
হিন্দু জনসংখ্যা- ৬,৪৩,৮৫,৫৪৬ জন
(পুরুষ- ৩,৩০,৪৬,৫৫৭ ও মহিলা- ৩,১৩,৩৮,৯৮৯ জন)
মুসলিম জনসংখ্যা- ২,৪৬,৫৪,৮২৫ জন
(পুরুষ- ১,২৬,৪০,০৯২ ও মহিলা- ১,২০,১৪,৭৩৩ জন)