নির্বাচন নিয়ে অক্ষরে-অক্ষরে মিলল তার ভবিষ্যদ্বাণী
মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ডেমোক্র্যাট সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তার মতামত জানিয়েছিলেন বার্নি। সেখানে বলেছিলেন, ভোটগণনা শুরু হওয়ার পরে কেমন টানটান পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কী ভাবে তা নাটকীয় মোড় নিতে পারে এবং তাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে। এই নিয়ে ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কাকতালীয় ভাবে বার্নির সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাচ্ছে বাস্তবের সঙ্গে। সেই সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও ক্লিপ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২ কোটি ৭০ লক্ষ দর্শক সেটি দেখেছেন।
কয়েক মিনিটের ওই ভিডিও ক্লিপে প্রবীণ সিনেটরকে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘‘কারণ যা-ই হোক না কেন, বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে মনে হচ্ছে, এ বারের ভোটে ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের অধিকাংশ পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগানের মতো বহু প্রদেশে প্রচুর পরিমাণে পোস্টাল ব্যালটে ভোট পড়তে পারে। আর লাইনে দাঁড়িয়ে যারা ভোট দেবেন তাদের অধিকাংশ রিপাবলিকান সমর্থক হওয়ার সম্ভাবনা।’’
পোস্টাল ব্যালটে ভোট গণনায় বাড়তি সময় লাগে। বার্নি বলেছেন, ‘‘প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঠিক ভাবে ভোটগণনা জরুরি। এমন হতে পারে, ভোটের দিন রাত দশটা নাগাদ মিশিগান, উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়ায় ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। টেলিভিশনে হয়তো জয় ঘোষণা করেই দিলেন তিনি। তাকে পুনর্নির্বাচিত করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিলেন।’’ বাস্তবে ঠিক তাই হয়েছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘কোটি কোটি মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন।.আমি তো জিতেই গিয়েছি।’’ অথচ তখনও লক্ষ লক্ষ ভোট গণনা বাকি। যার মধ্যে একটা বড় অংশ পোস্টাল ব্যালটের ভোট।
পরের দৃশ্যটাও ঠিক অনুমান করেছিলেন বার্নি। তিনি বলেছিলেন, ভোটের পরের দিন বা তার পরের দিন পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নিতে পারে। পোস্টাল ব্যালটে গণনা যত এগোবে, ভোটের ফলাফল তত বদলে যেতে পারে। দেখা যাবে প্রতিপক্ষ জো বাইডেন হয়তো ওই প্রদেশগুলিতে জিতছেন। সেই সময়ে ট্রাম্প বলতেই পারেন, ‘পুরো বিষয়টা জোচ্চুরি হচ্ছে। পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি রয়েছে। আমি মসনদ ছাড়ব না।’
কাকতালীয় ভাবে দৃশ্যটা আজ একেবারে মিলে গিয়েছে। উইসকনসিন, মিশিগানে জিতেছেন বাইডেনই। ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই ফল তিনি মানছেন না। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন তিনি। এক সময় ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন বার্নি। পরে অবশ্য সেই দৌড় থেকে ছিটকে যান।