গৌতম সরকার
২০১০ সালে শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জমি কিনে শুরু হয় শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালের পথচলা। একটু একটু করে এই হাসপাতালে গড়ে আধুনিক চিকিৎসা উপোযোগী নানা ব্যবস্থা। প্রকৃত খরচে সেই সব চিকিৎসার ধারাবাহিক সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। সরকারি উদাসীনতা ও বেসরকারি ব্যায় বহুল চিকিৎসা ব্যবস্থার বিপরীতে গণউদ্যোগে গড়ে ওঠা এই হাসপাতালটির সূচনা হয় ১৯৮২ সালে ইন্দোজাপান স্টিল কারখানার শ্রমিক, কিছু দরদি চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের মেলবন্ধনে।
এই হাসপাতালেরই বর্তমান উদ্যোগ ব্লাড ব্যাংক, আধুনিক কম্পোনেন্ট সেপারেটার যন্ত্রসহ। যে যন্ত্র হুগলী জেলার কোনো ব্লাড ব্যাংকেই নেই। অথচ ঐ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটির সাহায্য নিয়ে এক ইউনিট রক্তকে তিন চারটি ভাগে ভাগ করে তিন চার জন রোগীকে দেওয়া যায় অনায়াসে। যাতে তিন চারজন মুমুর্ষ রোগী উপকৃত হন।
আগামী ২রা অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার সকাল দশটায় শুরু হবে ঐ ব্লাড ব্যাঙ্কের পথচলা। হাসপাতালের তরফে সহসম্পাদক গৌতম সরকার বলেন, গণউদ্যোগে কোনো পঞ্চায়েত এলাকায় কম্পোনেন্ট সেপারেটর সেপারেটার সহ ব্লাড ব্যাংক গড়ে তোলা যে সম্ভব তা প্রমাণ করল শ্রমজীবী হাসপাতাল। কিন্তু আমরা সারা বাংলার রক্তের সংকট দূর করতে পারব না। আমরা চাই আরও মানুষ এগিয়ে আসুন, জেলায় জেলায় গড়ে উঠুক এই ধরণের গণউদ্যোগ।
কার্যকরী সভাপতি ফণীগোপাল ভট্টাচার্য বলেন, ব্লাড ব্যাংক গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা বহু মানুষের সাহায্য পেয়েছি। পাশে দাঁড়িয়েছে কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড, হংকং সাংহাই ব্যাংক কর্মচারীবৃন্দ এবং বহু ক্লাব সংগঠন।আশারাখি সবার সহযোগিতায় শ্রমজীবী হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের চলার পথ সুগম হবে।