পাওয়া গেল হিটলারের অপকর্মের চিহ্ন সেই ‘মারণ খাদ’

কলকাতা টাইমস :
অ্যাডলফ হিটলার, মানব ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ড পরিচালনা করেন। কাজটি করেছিলেন নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘মারণ খাদ’ তৈরি করে। হিটলার বিশ্বাস করতেন- জার্মান জাতীয়তাবাদে ইহুদিরা ভুঁইফোঁড় হিসেবে জেগে উঠেছে এবং জার্মানের অধপতনের পেছনে ইহুদিরাই দায়ী। তাই ইহুদিদের নিধনে মেতে উঠেছিলেন হিটলার। চরম ইহুদি বিদ্বেষী এই লোকটি নিজের আক্রোশ আর প্রতি-হিংসা বাস্তবায়ন করার জন্য জার্মানিজুড়ে তৈরি করেন গোপন ‘মারণ খাদ’ বা আস্তানা। যুদ্ধের পরিকল্পনাকারী এবং হিটলারের বিপথগামী সহচরদের রাখা হতো এখানে।
হিটলারের অধীনস্ত জার্মান ‘নাৎসি’ সামরিক বাহিনী ইউরোপের তদানীন্তন ইহুদিসহ লক্ষ লক্ষ মানুষকে এই মারণ খাদে বন্দি করে রাখা হয়। চালানো হয় ব্রাশফায়ার। একই সাথে প্রায় ষাট লক্ষ ইহুদি নিহত হয় এই মারণ খাদে। নিহত হয় অন্যান্য গোত্রের নারী, শিশুসহ অসংখ্য মানুষও। ঘৃণিত, বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ডের নাম দেয়া হয় ‘হলোকাস্ট’। আজ এত বছর পর হিটলারের এই অপকর্মের চিহ্ন এবং তার প্রমাণ বের হয়ে এসেছে।
ফটোগ্রাফার মার্ক আসকাত উত্তর ফ্রান্সের এক পরিত্যক্ত জায়গায় ছবি তোলার জন্য তার বিষয় খুঁজছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি হিটলারের নাৎসি বাহিনীর এই গোপন আস্তানাটি দেখতে পান, যেখান থেকে নাৎসি বাহিনী বৃটেন আক্রমণের পরিকল্পনা করতেন।
এই ভুতুড়ে জায়গাটি মানব ইতিহাসের অনেক বিধ্বংসী ঘটনার সাথে জড়িত। আসকাত জায়গাটির ঠিকানা কারো কাছে বলেননি। জায়গাটির ঠিকানা প্রকাশ না করার পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন- ‘হিটলারের এই গোপন আস্তানাটি লোকজনের সামনে না আনলেই ভালো।’