আসছে বৃষ্টি, নানান সমস্যায় ভুগতে না চাইলে প্রতিদিন খাওয়া শুরু করুন এই খাবারগুলি…! – KolkataTimes
May 4, 2025     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

আসছে বৃষ্টি, নানান সমস্যায় ভুগতে না চাইলে প্রতিদিন খাওয়া শুরু করুন এই খাবারগুলি…!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

খানে এমন কিছু খাবারের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, যা নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীর ভিতর এবং বাইরে থেকে এমন চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এমনকি সর্দি-কাশির মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির বৃষ্টির মরসুমে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় কিন্তু প্রশ্ন হল এত সব উপকার পেতে কী ধরনের খাবারকে জায়গা করে দিতে হবে রোজের ডায়েটে?

১. লেবু,দারচিনি এবং মধু: প্রতিদিন সকাল-বিকাল হাফ চামচ মধুতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং এক চিমটে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়া শুরু করলে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এমনকি সর্দি-কাশির প্রকোপও কমে চোখে পরার মতো।

২. হার্বাল টি: ওয়েদার চেঞ্জের সময় নিয়ম করে তুলসি, আদা এবং গোলমরিচ সহকারে বানানো চা খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে এত মাত্রায় উপকারি উপাদানের প্রবেশ ঘটে যে ইমিউনিট বাড়ে চোখে পরার মতো। আর একবার রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে উঠলে সর্দি-কাশির প্রকোপ তো কমেই, সেই সঙ্গে ভাইরাল ফিবারের মতো শারীরিক সমস্যাও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৩. আমলকি: এত রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভাটামিন সি, যা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় ক্ষতিকর জীবাণুরা সব মারা পরে। সেই সঙ্গে শরীরও ভিতর এবং বাইরে থেকে বেজায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটে। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আর কোনও আশঙ্কাই থাকে না।

৪. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: এক গ্লাস গরম জলে ১ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন দু-বেলা খাওয়া শুরু করুন। এমনটা করলে শরীরের অন্দরে “পি-এইচ লেভেল”এর ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে কোনও জীবাণুর পক্ষেই আক্রমণ শানানো আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর ক্ষতিকর জীবাণুরা যখন ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তখন আর শরীর নিয়ে ভয় কী বলুন!

৫. গ্রিন টি: একাধিক কেস স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত দুকাপ করে গ্রিন টির সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। আর এমনটা হওয়ার কারণে শরীরও বেজায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ফলে তাপমাত্রা কমলেও শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।

৬. হলুদ খেতেই হবে: এই মশলাটির অন্দরে উপস্থিত কার্কিউমিন নামক একটি উপাদান একদিকে যেমন শরীরের অন্দরে হতে থাকা প্রদাহ কমায়, তেমনি দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকেও ব্য়াপোক শক্তিশালী করে তোলে। প্রসঙ্গত, হলুদের শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এবং নানাবিধ ডিটক্সিফাইং এজেন্টও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. খাবার প্লেটে প্রোটিন সমৃদ্ধি খাবার থাকা চাইই চাই: মানব শরীরকে চালাতে জলের পরেই যার নাম আসে সে হল প্রোটিন। এই উপাদানটি ছাড়া শরীরের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাই তো প্রোটিনের ঘাটতি যেন কোনও সময় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, বিশেষত শীতকালে। কারণ এই সময় এমনিতেই নান কারণে শরীর বেশ দুর্বল হয়ে পরে। তার উপর যদি ঠিক মতো প্রোটিন সমৃদ্ধি খাবার না খাওয়া হয়, তাহলে শরীর ভিতর থেকে এতটাই দুর্বল হয়ে পরে যে নানা রোগ আক্রামণ শানানোর সুযোগ পয়ে যায়।

৮. কাঁচা রসুন: হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো এই শীতকালে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া করে রসুন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবেই মিলবে।

৯. ভিটামিন এ রয়েছে এমন খাবার: শরীরের বহিরাংশে যে কোষেরা রয়েছে, তারা হল দেহের প্রথম ডিফেন্স সিস্টেম। তাই তো ছোট-বড় নানা রোগ থেকে দূরে থাকতে হলে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আর এই কাজটি করা তখনই সম্ভব হবে, যখন দেহে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি দূর হবে। আসলে এই বিশেষ ধরনের ভিটামিনটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসদের প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো শীতকালে সুস্থ-সবল থাকতে বেশি করে খেতে হবে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- রাঙা আলু, ব্রকলি, গাজর, পালং শাক,মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি।

১০. দেহের অন্দরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি যেন না হয়: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে ভিটামিন সি-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই তো সারা বছর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আর শীতকালে যেহেতু এমনিতেই নানাবিধ ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, তাই এই সময় তো বেশি করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- পাতি লেবু, কমলা লেবু, কর্নফ্লাওয়ার, আপেল এবং পেয়ারা খেতে হবে।

১১. জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধি খাবার: শরীর তখনই সফলভাবে সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে পারবে, যখন জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের ঘাটতি দূর হবে। কারণ এই দুটি উপাদান রোগ প্রতিরাধী ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো রোজের ডায়েটে মাশরুম, পালং শাক, মুরগির মাংস এবং বাঁধা কোপি থাকা মাস্ট!

Related Posts

Leave a Reply