ঘরের এই নিত্য ব্যবহৃত জিনিসগুলি নোংরার আঁতুরঘর
কলকাতা টাইমস :
ঘরের ভিতর পরিষ্কার রাখা বিশেষ আবশ্যক। ঘরের ভিতর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে তবেই আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। নাহলে নানা রোগের বাসা হয়ে উঠবে আমাদের শরীর।
জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া বাতাসে ভেসে বেড়ায়। তাই ঘরের যেকোনও জিনিস বেশিদিন পরিষ্কার না করলেই তা জীবাণুর আঁতুরঘর হয়ে উঠতে পারে।
এছাড়া যাদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে বাড়ি পরিষ্কার করতে হবে। কারণ বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে তার শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে খুব সহজেই।
ঘরের কিছু জিনিস রয়েছে যা অত্যন্ত নোংরা হয়ে যায় খুব সহজেই। নিয়মিত তা পরিষ্কার করার কথা থাকলেও তা হয়ে ওঠে না। আর তা থেকেই ছড়ায় বড় বড় রোগ। নিচের স্লাইডে দেখে নিন এমনই কয়েকটি জিনিস।
অন্তর্বাস
অন্তর্বাসে ব্যাকটেরিয়া থাকে প্রচুর পরিমাণে। নিয়মিত অন্তর্বাস না পাল্টালে গোপনাঙ্গে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। স্নানের সময় এই জায়গাগুলি ভালো করে পরিষ্কার করাও একান্ত কর্তব্য।
রান্নার বাসন পরিষ্কারের স্পঞ্জ
রান্নার বাসন পরিষ্কার করার স্পঞ্জ টয়লেটে বসার জায়গার মতো নোংরা থাকে। বেশিদিন একই স্পঞ্জ দিয়ে বাসন মাজলে পেটে সংক্রমণের ভয় থাকে।
বোতলের মুখ
জলের বোতলের ছিপির নিচে মুখের অংশটি সারাক্ষণ আর্দ্র থাকে। ফলে তা ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থল হয়ে ওঠে। তাই নিয়মিত ওই জায়গা পরিষ্কার না করলে সমস্যায় পড়বেন।
বাচ্চাদের বোতল
বাচ্চাদের ফিডিং বোতলের মুখের ছিপি প্রতিমাসে পাল্টাতে হবে। এই জায়গায় জীবাণুর সংক্রমণ হয়ে অনেক বেশি। এছাড়া প্রতিবার গরম জলে তা ফুটিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
লুফা
ত্বক পরিষ্কারের লুফা বা স্পঞ্জের টুকরো ভেজা থাকায় তাতে ব্য়াকটেরিয়া বাসা বাঁধে। তা কিছুদিন পরপর না পাল্টালে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে।
টুথব্রাশ
কতোদিন পরপর আপনি নিজের টুথব্রাশ পাল্টান? বিশেষজ্ঞ মতে, প্রতিমাসে টুথব্রাশ বদলানো উচিত। এতে মুখে ব্যাকটেরিয়ায় প্রাদুর্ভাব কমে।
বিছানার চাদর
বেশিদিন একই বিছানার চাদরে ঘুমালে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত বিছানার চাদর পাল্টানো প্রয়োজন।
বালিশের কভার
বিছানার চাদরের পাশাপাশি বালিশের কভারেও প্রচুর ধুলো ও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। এর থেকে ত্বকে তো বটেই নাক, মুখ ও চোখেও সংক্রমণ হতে পারে।