মৃত্যুর সময়ে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হবে? বলে দেবে আপনার…
পুনর্জন্ম রয়েছে কি না, তা নিয়ে বহু মতামত রয়েছে। কোনও ধর্ম বলে আছে, আবার কোনও ধর্ম বলে নেই! যেমন সনাতন (হিন্দু) ধর্ম অনুযায়ী, আগের জন্মের কর্মের উপরই নির্ভর করছে আপনার বর্তমান জীবন কেমন যাবে।
আবার এই জীবনের কর্ম কেমন তার বিচার হবে পরের জন্মে। এক প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা গিয়েছে। জীবন থাকলে মৃত্যুও আছে— এই সত্য কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
মনে করা হয় মৃত্যুর পরে কেউ যান স্বর্গে, কেউ নরকে। জীবনে পুণ্য করলে স্বর্গে আর পাপ করলে নরকে ঠাঁই হয়। কিন্তু মৃত্যুর সময়ে ঠিক কী হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের কর্মই ঠিক করে দেয় কীভাবে তার মৃত্যু হবে, কীভাবে দেহ থেকে আত্মা ছেড়ে যাবে।
মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার থাকলেও কথা বলা যায় না। জীবনের একদম শেষ মুহূর্তে এসে দিব্যদৃষ্টির দ্বারা সমস্ত দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু শরীরের সমস্ত সার ও জ্ঞান ধ্বংস হয়ে যায়। তাই আর কিছুই করার উপায় থাকে না।
মৃত্যুর সময়ে অনেকেই প্রস্রাব করে ফেলেন। এই প্রতিবেদনটির দাবি, এই ভয়ানক মৃত্যুদূতদের দেখেই ভয়ে প্রস্রাব করে ফেলেন মানুষ। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় সেই ব্যক্তির। তার পরেই যমদূত সেই ব্যক্তির আত্মা বেঁধে নিয়ে চলে যান।
যমলোকে যাওয়ার পথে সেই আত্মা খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু কোনও ভাবেই যমদূতরা তাকে বিশ্রাম করতে দেন না। বরং যমলোকে গিয়ে আরও কতও শাস্তি তার জন্য অপেক্ষা করছে, সেই কথা শুনিয়ে তাকে ভয় দেখাতে থাকেন।
এই সব কথা শুনে সেই আত্মা আর্তনাদ করতে থাকে। কিন্তু হাজার চোখের জল ফেলেও কিছুতেই সেই যমদূতদের সহানুভূতি পায় না আত্মা। তখনই নিজের পাপের কথা এক এক করে তার মনে পড়তে থাকে। মনে পড়তে থাকে, এই ভাবেও সে বহু মানুষকে কাঁদিয়েছিল।
যমলোকে পৌঁছানোর পরে যমরাজের সঙ্গে দেখা হয় সেই আত্মার। তখন যমরাজ সেই আত্মাকে কিছু সময়ের জন্য যেখানে মৃত্যু হয়েছিল সেখানে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেন। নিজের মৃতদেহ দেখে তার মধ্যে আবার প্রবেশ করার চেষ্টা করে সেই আত্মা। তখনই আবার তাকে যমলোকে ফিরিয়ে আনা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মৃত্যুর পরে পরিবারের সদস্যরা মৃত ব্যক্তির আত্মাকে শান্তি দিতে শ্রাদ্ধ না করলে, সেই আত্মা বিভিন্ন জায়গায় হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাই মৃত্যুর ১০ দিনের মধ্যে পিণ্ড দান করতে বলা হয়।