দুর্লভ বলেই কি এরা মানুষের পেটে ?
কলকাতা টাইমস :
দুর্লভ প্রাণী ওরাংওটাং বর্তমানে বিশ্ব থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পথে। তবে এ অবস্থাতেও প্রাণীটিকে বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব যদি সবাই মিলে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক খবর হলো, প্রাণীটিকে রক্ষা করা নয় বরং শেষ করতেই যেন উদ্যোগী হয়েছে বহু মানুষ। তবে সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হলো এমনকি মানুষের পেটেও যাচ্ছে এ ওরাংওটাং!
সম্প্রতি বোর্নিয়ান ওরাংওটাং সংক্রান্ত এক খবরে নতুন করে নড়েচড়ে বসতে হচ্ছে সবাইকে। কারণ মানুষ শুধু এ ওরাংওটাংকে হত্যাই করছে না একে খাওয়ারও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে ইন্দোনেশিয়ায়।
খবরে প্রকাশ, ইন্দোনেশিয়ার পাম চাষে নিয়োজিত কর্মীরা ওরাংওটাং গুলি করে মেরে তারপর ছোট ছোট খণ্ডে বিভক্ত করে রান্না করে খেয়েছে। আর এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার কয়েকজনকে আটকও করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের কাপুয়াস হুলু জেলায় এ ভয়ঙ্কর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ এক অভিযানে তিনজন পুরুষকে আটক করেছে। আরও সাতজনকে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে এ ঘটনার শিকার জবাই করা প্রাণীগুলোর ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় মিডিয়ায়। এতে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
পুলিশ ওরাংওটাংয়ের হাড়গোড় ও শুকানো মাংসও পেয়েছে অভিযুক্তদের বাসস্থান থেকে। স্থানীয় পুলিশ প্রধান জুকিম্যান সিটুমোরাং এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, ওরাংওটাংকে গুলি করা, ধরা, কেটে টুকরো টুকরো করা, রান্না করা ও খাওয়ার অভিযোগে তিনজন কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের এ অভিযোগে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
পরিবেশবাদী গ্রুপ সেন্টার ফর ওরাংওটাং প্রটেকশন (সিওপি) এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে সেখানে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি ও তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কিন্তু কী কারণে ওরাংওটাংদের ওপর এ নির্মম নির্যাতন? এ প্রশ্নে জানা যায়, পাম তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোই ওরাংওটাংয়ের মূল শত্রু। কারণ ওরাংওটাং কিছু ক্ষেত্রে পাম গাছের ক্ষতি করে। আর এ ধরনের ক্ষতি হলে কম্পানিগুলো কর্মীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়। তাই কর্মীরা ওরাংওটাংকে হত্যা করে হলেও পাম গাছ বাঁচাতে চায়। আর এতে বিলুপ্ত হওয়ার পথে ওরাংওটাং।