মানুষ চাইলেও এলিয়েনরা চাইছেন না, কিন্তু কেন?
কলকাতা টাইমস :
আধুনিক প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে মানুষ চেষ্টা করছে ভিনগ্রহের অধিবাসী বা এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কিন্তু বাস্তবে এখনও পর্যন্ত কোনো এলিয়েনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যদিও এ মহাবিশ্বে অসংখ্য প্রাণ থাকার যেমন সম্ভাবনা রয়েছে তেমন মানুষের তুলনায় বুদ্ধিমান এলিয়েন থাকার সম্ভাবনাও কোনোভাবে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় একটাই প্রশ্ন ঘুরছে বিজ্ঞানীদের মাঝে- তবে কি এলিয়েনরা মানুষকে এড়িয়ে চলছে? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
১৯৭৩ সালে জন বল নামে একজন রেডিও অ্যাস্ট্রোনমার একটি সম্ভাব্য থিওরি দিয়েছিলেন। ‘জু হাইপোথিসিস’ নামে সে থিওরিতে তিনি জানিয়েছেন, এলিয়েন সভ্যতা যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ। তারা নিজেদের মাঝে একটি ‘এলিট এলিয়েন ক্লাব’ গঠন করেছে। আরনিজেদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করলেও যারা নানাক্ষেত্রে এখনও কিছুটা অনগ্রসর কিংবা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করে না। তার বদলে দূর থেকে পর্যবেক্ষণের পদ্ধতিটি তারা অনুসরণ করে। আর এ কারণে মানুষের সঙ্গে তারা যোগাযোগ না করলেও দূর থেকে মানুষকে পর্যবেক্ষণ করছে।
কিন্তু কী কারণে তারা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না? এ প্রসঙ্গে স্কটিশ মহাকাশ গবেষক ডানকান ফরগ্যান একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের সহায়তা নিয়েছেন। তিনি মহাকাশে পৃথিবীর মতো গ্রহের সংখ্যা এবং তাতে এলিয়েন বসবাসের সম্ভাবনার বিষয়টি জানতে একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের সহায়তা নিয়েছেন। এতে উঠে এসেছে মহাবিম্বে কমপক্ষে ৫০০ বুদ্ধিমান সভ্যতাযুক্ত গ্রহ রয়েছে। আর এ এলিয়েন সভ্যতাগুলো পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। এর কারণ তারা মিলিয়ন বছর আগেই উদ্ভুত এবং নিজেদের মাঝে সংযুক্ত হয়েছে। আর সংযুক্ত থাকার কারণে তারা নিজেদের মাঝে কয়েকটি গ্রুপ তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে তাদের এক গ্রুপ অন্য গ্রুপ থেকে পৃথক থাকতেই পছন্দ করে। আর এ কারণে তারা পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে না।
তাহলে এ বিষয়টি কি ভালো? কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন এটি মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বিশ্বাস করেন, বুদ্ধিমান এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা বিপজ্জনক। কারণ তারা পৃথিবীকে জয় করতে কিংবা পদানত করতে চাইবে। অতীতে যেমন ইউরোপিয়ানরা সারা পৃথিবীর নানা অঞ্চলকে তাদের কলোনি বানিয়েছিল, তেমন পৃথিবীকেও কলোনি বানাতে চাইবে তারা।
বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এলিয়েনদের আচরণ বিষয়ে কয়েকটি অনুমানও করেছেন। তার ধারণা, প্রথমত, এলিয়েরা তাদের স্বভাবগত কারণেই আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দ্বিতীয়ত, বুদ্ধিমান প্রাণীরা স্বাভাবিকভাবেই আগ্রাসী প্রাণী থেকে উদ্ভুত হতে পারে, তৃতীয়ত শান্তিপ্রিয় এলিয়েনরা মহাকাশে ঘুরে বেড়াবে না।