এই সিঁড়িই সর্বনাশের কারণ হয় সম্রাট হুমায়ুনের
দিল্লি ঐতিহাসিক স্থান দ্বারা ঘেরা একটি শহর। সেখানকার বেশিরভাগ ভবনই মুঘল আমলের। তবে এই শহরে এমন একটি ভবন আছে, যার ইতিহাস ৫০০ বছরেরও বেশি পুরোনো।
ভবনটি কোনো মুঘল শাসক নয়, সুরি রাজবংশের সম্রাট শের শাহ সুরি করেছিলেন। হিন্দু সাহিত্য অনুসারে, এই দুর্গটি ইন্দ্রপ্রস্থ নামে একটি স্থানে অবস্থিত। যা এক সময় পাণ্ডবদের রাজধানী ছিল।
কথিত আছে, এই দুর্গের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে গিয়েই পড়ে গুরুতর আহত হন মুঘল সম্রাট মির্জা নাসির-উদ-দীন মুহম্মদ হুমায়ুন। এরপরই তার মৃত্যু হয়। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহাসিক ৫০০ বছরের পুরোনো দুর্গ থেকে।
এই দুর্গের প্রবেশপথ আছে তিনটি খিলান। আর পশ্চিমে একটি বড় দরজা, দক্ষিণে হুমায়ুনের দরজা আছে। চলুন তবে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এই দুর্গ সম্পর্কে-
এটি দিল্লির এমন একটি জায়গা যেখানে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ঘুরতে আসেন। প্রতি সন্ধ্যায় এখানে একটি চমৎকার লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো হয়। যা দেখার জন্য দিল্লি এনসিআরের লোকজন দূর-দূরান্ত থেকে আসে।
দুর্গটি প্রায় ২ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে বিস্তৃত। এটি দিল্লির বৃহত্তম দুর্গ হিসাবে বিবেচিত। পাশাপাশি দিল্লির প্রাচীনতম দুর্গ হিসেবে একে পুরাণ কিলাও বলা হয়। তবে এই দুর্গের আসল নাম সিংহের দুর্গ।
প্রচলিত আছে, এই দুর্গের সিঁড়ি থেকে পড়ে হুমায়ূন মারা যান। এ কারণে মুঘলরা পরবর্তী সময়ে দুর্গটি খালি করার সিদ্ধান্ত নেন এই ভেবে যে, তাদের সঙ্গে যাতে অশুভ কিছু না ঘটে।
পরে আকবর যখন দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তর করেন, তখন তিনি দিল্লিকে বিদেশি আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য লাল কেল্লা নির্মাণ করেন।
কখন যাবেন দুর্গ দেখতে ও প্রবেশ মূল্য কত?
পুরোনো এই ঐতিহাসিক দুর্গ দেখলে চাইলে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সেখানে যেতে পারেন। বছরের যে কোনো দিন আপনি এই দুর্গ পরিদর্শন করতে পারবেন। তবে আবহাওয়া অনুযায়ী, অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে সেখানে ভ্রমণ করা বেশি সুবিধার।
দুর্গের প্রবেশ মূল্য
>> ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ৫ টাকা
>> বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা
>> ফটোগ্রাফির জন্য কোনো চার্জ নেই
>> ভিডিওগ্রাফির জন্য ২৫ টাকা
কীভাবে যাবেন?
পুরোনো দুর্গের অবস্থান দিল্লিতে। তাই আপনি খুব সহজেই যেতে পারবেন। এটি দিল্লি চিড়িয়াখানার খুব কাছে। সেখান থেকে বাসস্ট্যান্ড ও বিমানবন্দর খুব নিকটেই।