পকেটে ব্যবহার করেই জঙ্গিদের নিধনে নামল ইজরাইল
কলকাতা টাইমস :
লেবাননের সশস্ত্র হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর একের পর এক সদস্যর পকেটে বিস্ফোরণ। এক অদ্ভুত হামলায় মঙ্গলবার, গুরুতর আহত হলেন শয়ে শয়ে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও চিকিৎসক। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ২৮০০ জন আহত। বর্তমান প্রজন্মর কাছে সম্ভবত পেজার যন্ত্রটি সেভাবে পরিচিত নয়। তবে, মোবাইল ফোন আসার আগে পেজারই ছিল যোগাযোগের দ্রুততম মাধ্যম। যোগাযোগের জন্য সেই পেজারই এখনও ব্যবহার করে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। এদিন তাদের সদস্যদের পকেটে একের পর এক পেজারে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। হিজবুল্লাহর এক কর্তার মতে, ইজরাইলই এই পেজার হামলার পিছনে রয়েছে। তাঁর মতে, গত প্রায় এক বছর ধরে তাঁদের সঙ্গে ইজরইলের যুদ্ধ চলছে। এদিনের হামলাই ‘সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন’।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, এই হামলাকে কেন্দ্র করে লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ শহরতলিতে গাদা-গাদা অ্যাম্বুল্যান্স ছোটাছুটি করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, প্রথম বিস্ফোরণের প্রায় ৩০ মিনিট পরও একের পর এক পেজারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সূত্রের খবর, লেবাননের দক্ষিণ দিকেও পেজার হামলা বেশি হয়েছে। গাজা যুদ্ধের পরই, গত বছরের অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়মিত সংঘর্ষে জড়ায় ইজরাইলি সামরিক বাহিনী। তাদের পক্ষ থেকে এদিনের ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
লেবাননের সরকারি সংবাদ সংস্থা, ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বা এনএনএ জানিয়েছে, ‘উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে’ এই পেজার হামলা চালানো হয়েছে। রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলির মধ্য দিয়ে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর যোগাযোগের যন্ত্রগুলি হ্যাক করে সেগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। লেবাননের একটি সিনিয়র নিরাপত্তা কর্তাকে উদ্ধৃত করে, সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা ‘আল-হাদাথ’ বলেছে, প্রত্যেকটি যন্ত্রের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইজরাইল। ইজরাইলের সংবাদপত্র ‘জেরুজালেম পোস্ট’ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের আগে পেজারগুলিকে রিং হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পেজার বের করার সঙ্গে সঙ্গে পেজারে বিস্ফোরণ ঘটে।